আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় রাজধানী ঢাকার ১৮ আসনের নির্বাচনী পালে শুরুতে মৃদু হাওয়া বইলেও বর্তমানে তা দমকা হাওয়ায় রূপ নিয়েছে।

ব্যানার, পোস্টার, লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো ঢাকা ১৮ আসন। নানা রঙে ঢঙে মাইকিং করে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীর প্রতিনিধিরা। প্রার্থীরাও চসে বেড়াচ্ছেন প্রতিটি ওয়ার্ড, পাড়া, মহল্লা। চাচ্ছেন ১ টি করে ভোট।

ঢাকা ১৮ আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ জন প্রার্থী। তবে আওয়ামী লীগ থেকে ‘কনসেশন’ পেয়ে জাতীয় পার্টির ‘লাঙল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের।
এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ‘ট্রাক’ প্রতিক নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন এবং ‘কেটলি’ প্রতীক নিয়ে খসরু চৌধুরী।

তবে বিভিন্ন এলাকা জরিপে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা কালে তোফাজ্জল হোসেনের নামে দখলবাজ, ভূমিদস্যু, ধর্ষণ মামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, বিচারের নামে প্রহসন, বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতে নেওয়া ও টর্চারসেল তৈরী করে নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্যাতন সহ বেশ কিছু তথ্য নিয়ে ১টি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। ফলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় এই প্রার্থীকে ঘিরে। এমনকি গত ডিএনসিসি নির্বাচনে ওয়ার্ড ‘কাউন্সিলর পদে’ নির্বাচন করেও তিনি পরাজিত হন। ফলে হাইব্রিড ভাবে তার এমপি প্রার্থিতা নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এছাড়াও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির শেরিফা কাদেরের সাথে সাধারণ মানুষের খুব একটা পরিচিতি এবং সখ্যতা না থাকায় ভোটের মাঠে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন বলে মনে করছেন ১৮ আসনে বসবাসকারী জনগন। তাছাড়া জাতীয় পার্টি দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ায় নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থন থেকেও পিছিয়ে আছেন তিনি।

অন্যদিকে গত বেশ কয়েক বছর যাবত সাধারণ মানুষের সাথে অতঃপ্রত ভাবে থেকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে জড়িত থাকায় নির্বাচনী মাঠটা অনেকটাই মসৃণ হয়ে আছে খসরু চৌধুরীর এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। যার ফলে এই আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে ‘কেটলি’ প্রতিক নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে খসরু চৌধুরী।

এখন দেখার পালা আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কে পড়ে বিজয়ের মালা। কেইবা হয় ঢাকা ১৮ আসনের নতুন কাণ্ডারি।

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার