ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় আইন পাস করেছিল দেশটির পার্লামেন্ট। এই আইনের উদ্যোক্তা ছিল দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। তবে সেই আইন বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্ট।

গতকাল সোমবার এক ঐতিহাসিক রায়ে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেশটির রাজনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। কারণ, গাজাকে কেন্দ্র করে চলমান যুদ্ধ দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে উত্তপ্ত করে রেখেছে। যুদ্ধ যদি মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে সংকট আরও গভীর হতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সুপ্রিম কোর্টের এই রায় দেশটির রাজনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করতে পারে। কারণ, গাজাকে কেন্দ্র করে চলমান যুদ্ধ দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে উত্তপ্ত করে রেখেছে। যুদ্ধ যদি মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে সংকট আরও গভীর হতে পারে।

নেতানিয়াহু সরকারের বিচার বিভাগ সংস্কার পরিকল্পনার কারণে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়, যা নেতানিয়াহুর সরকারকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়। এই পরিকল্পনার কারণে এরই মধ্যে ইসরায়েলে গভীর ধর্মীয়, জাতিগত ও শ্রেণিগত বিভাজন প্রশস্ত হয়েছে, সামরিক বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, শেকেলের অবমূল্যায়ন হয়েছে। এমনকি মিত্রদের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। আইনটি পাসের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই আইনের সমালোচনা করেছিলেন।

ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, এই আইন দেশের গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করত। সুপ্রিম কোর্টের ১৫ জন বিচারকের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে একেবারে সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়। ১৫ জন বিচারকের মধ্যে আটজন বিচারক আইনটি বাতিলের পক্ষে রায় দেন। বাকিরা মত দেন এর বিপরীতে।

দীর্ঘ সাত মাসের বিতর্কের পর গত বছরের জুলাই মাসে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমানোসংক্রান্ত বিলটি পাস হয়। এই আইন পাস হওয়ার আগে ইসরায়েলি বিচার বিভাগ চাইলে সরকারের গৃহীত যেকোনো সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে ঘোষণা বা বাতিল করতে পারত। কিন্তু নতুন আইন পাসের পর বিচার বিভাগের সেই ক্ষমতা আর ছিল না।

বার্তা বাজার/জে আই