ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। তাদের অধিকাংশ খোলা আকাশের নিচে কিংবা পার্কে বসবাস করছেন। ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর জুলিয়েট তোমা বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রাণে বাঁচতে ছুটে চলেছেন ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। গত কয়েক দিনেই দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে এক লাখের মতো মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে ২১ হাজার ৬৭২ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫৬ হাজার ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় হামলা চালায়। ফলে ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজায় এসে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তবে দক্ষিণ গাজাও নিরাপদ নয় বলেই জানিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, শহরটিতে শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসেছে হামাস।

রাফাহ শহর থেকে ইউএনআরডব্লিউএর গাজা শাখার পরিচালক টম হোয়াইট বিবিসিকে বলেছেন, ১০ লাখের বেশি মানুষ রাফাহ শহরে নিরাপত্তার প্রার্থনা করেছেন। এখানে কোনো জায়গা ফাঁকা নেই। সব জায়গায় মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

জুলিয়েট তোমার মতো তিনিও বলেছেন, লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মাত্র এক টুকরো প্লাস্টিক নিচে বিছিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজাজুড়ে ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। খান ইউনিস ও অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি হামলা জোরদার হওয়ায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফাহ শহরে প্রবেশ করছে।

খান ইউনিসের বাসিন্দারা ইসরায়েলি সেনা ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র বন্দুক যুদ্ধের কথা জানিয়েছেন। নুসিরাত, মাগাজি ও আল-বুরেজে শরণার্থী শিবিরেও তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

বার্তা বাজার/জে আই