সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষে ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যদিও এ ধাপের পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে অধিদপ্তর। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এ পরীক্ষা হতে পারে।

জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা হবে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে। এ তিন বিভাগে আবেদন করেছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী। এবার আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা বিভাগীয়ভাবে নেওয়া হচ্ছে। তিন ধাপের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরীক্ষাও হচ্ছে আলাদাভাবে।

দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই নিয়ে নিতে চাই। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

অধিদপ্তর সূত্র বলছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা না হলে তা কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। এ কারণে দ্রুত তারিখ নির্ধারণের চেষ্টা করছে অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, নিয়োগের অনুমোদিত শূন্য পদের মধ্যে বেশি ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে শূন্য পদের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৫ টি। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৪১১টি। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮টি এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি শূন্য পদ রয়েছে।

এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবেদন করেছিলেন প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের মতো আবেদনকারী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন।

বার্তা বাজার/জে আই