‘জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আমি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নীলফামারী সদর আসনে আমাকে দলীয় মনোনয়নের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ডোমার-ডিমলার মানুষের রক্তে আমি মিশে গেছি। তাই সে প্রস্তাব গ্রহণ না করে নীলফামারী-১ আসনে নোঙ্গর প্রতীকে নির্বাচন অংশ নেই। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই আমার পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মূলক সাড়া পাচ্ছি। তাদের এই ভালোবাসা আমার সবচেয়ে বড় অ্যাসেট।’

বার্তা বাজারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) নোঙর প্রতীকের প্রার্থী জাফর ইকবাল সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। আমাকে জাতীয় পার্টির লোকজন আশানুরূপ ভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের অনেকেই আমার নির্বাচনী কাজে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে। বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী বলছে তারা ভোট দিতে গেলে আমাকেই ভোট দেবে।

জাফর ইকবাল সিদ্দিকী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, চিলাহাটিকে পূর্ণাঙ্গ থানায় রূপান্তরিত করে স্থল বন্দর পুনরায় চালু করবেন। এই জনপদের মানুষের কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ । এছাড়া ডিমলা, ডোমার ও চিলাহাটিতে চিকিৎসার মানোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেবে প্রয়োজনে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জনকল্যাণে তা ব্যয় করবেন। তিস্তা চরাঞ্চল ও তিস্তা নদীর তলদেশ সংস্কার করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে নদী হতে মূল্যবান সম্পদ আরোহন করা হবে। ফলে তিস্তা নদী বেকারত্ব দূরীকরণে আশীর্বাদ হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের অবদান সম্পর্কে তিনি বলেন, বারবার প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্য তৈরি হবে। কিন্ত শত সাধনা করেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধা একজন সিআইপি- ভিআইপি এটা মনে রাখা উচিৎ।

বার্তাবাজার/এম আই