প্রায় তিন মাস ধরে বর্বরতার নজির ভেঙে গাজা ও পশ্চিম তীরে হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। সহিংসতা থামিয়ে মানবিক সহায়তা সরবরাহে সহায়তা করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আহ্বান জানালেও এই পরিস্থিতির জন্য জাতিসংঘ ও হামাসকে দুষছে ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মারাত্মক বিপদের মধ্যে আছে গাজাবাসী।

বুধবার গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইলি সেনারা। বিমান হামলা হয়েছে আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে। দু’দিন আগেই সেখানে বিমান হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। বিমান হামলা হয়েছে খান ইউনিসের আল-আমল হাসপাতাল ও রাফাহ শহরে আবাসিক এলাকায়। পশ্চিম তীরে ঘরে ঘরে তল্লাশি অভিযানের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অন্তত সাত ফিলিস্তিনিকে।

জাতিসংঘের হিসেবে, বর্বর এসব হামলায় মঙ্গল ও বুধবার কমপক্ষে তিনশ’ ২৫ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মারাত্মক বিপদের মধ্যে আছে গাজাবাসী।

সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, অবিলম্বে অভিযান থামিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাস হওয়া প্রস্তাব অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত। তবে, মানবিক সহায়তা গাজাবাসীর কাছে ঠিকঠাক না পৌছানোর জন্য জাতিসংঘ ও হামাসকে দায়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসরাইলের সরকারি মুখপাত্র ইলন লেভি। তার দাবি, মানবিক সহায়তা হামাস ছিনতাই করলেও তা ধামাচাপা দিচ্ছে জাতিসংঘ।

বার্তা বাজার/জে আই