বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিওরিটি ফেস ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গাজা স্ট্রিপের ২৩ লাখ মানুষ এখনই খাদ্যাভাবে ভুগছেন। এমন পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সেখানে প্রবল খাদ্যসংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

বস্তুত, জাতিসংঘ একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানিয়ে দিয়েছে তাদের রিপোর্টে। বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গাজায় পরিমাণমতো খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে না পারলে খাদ্যসংকট তৈরি হবে। ক্ষুধাসূচকের স্কেলে পাঁচটি ধাপ আছে। ৭ ফেব্রুয়ারি তা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে।

আইপিসি জানিয়েছে, এত পরিমাণ মানুষ এমন খাদ্যসংকটে এর আগে কখনো পড়েনি। তাদের বক্তব্য, অপুষ্টির সমস্যা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে গাজায়। এই পরিস্থিতি এগোতে দিলে তবেই খাদ্যসংকট তৈরি হবে।

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি আরো পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবারও ভোট হয়নি। শুক্রবার ভোটাভুটি হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভোটাভুটির আগে যে সিদ্ধান্তের খসড়া তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সকলে এখনো ঐক্যমত্য হতে পারেননি। আমেরিকা বার বার লেখায় বদল আনতে চাইছে। চেষ্টা হচ্ছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের খসড়া তৈরি করে ভোটাভুটির দিকে এগোনোর।

বাকি দেশগুলিও নিজেদের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। আপাতত যে খসড়া তৈরি হয়েছে, সেখানে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানোর রাস্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বস্তুত, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরের মধ্যে খসড়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি বাদানুবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ২০টিরও বেশি দেশ লোহিত সাগরের নিরাপত্তার জন্য তৈরি সাম্প্রতিক গোষ্ঠীতে যোগ দিতে রাজি হয়েছে। হুতি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাঁচাতে এই গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। লোহিত সাগরে নতুন করে তারা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। বস্তুত, এই মুহূর্তে অধিকাংশ জাহাজ লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খালের রাস্তা এড়িয়ে আফ্রিকা ঘুরে ইউরোপ থেকে এশিয়ায় যাতায়াত করছে।

এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত এই রাস্তা বদলে আবার সুয়েজের রাস্তায় বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে চাইছে আমেরিকা-সহ ইউরোপের একাধিক দেশ। সে জন্যই নতুন এই গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। এর আগে ৩ ডিসেম্বর তিনটি মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল হুতি সন্ত্রাসীরা। তারপরেই ওই রাস্তা এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে জাহাজগুলি।

বার্তা বাজার/জে আই