আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে নিয়ে নৌকা প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেতাব মাহমুদের বিরুদ্ধে।

সে নৌকা প্রার্থী খান আহমেদ শুভর সমর্থক বলে জানা গেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হলে মুহূর্তের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে প্রতিবাদের ঝড়।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার গোড়াই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভর নির্বাচনী প্রচারণার একটি অফিস উদ্বোধন করা হয়। এসময় সেতাব মাহমুদ তার বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে উদ্দেশ্য করে বলেন (বক্তব্যের একাংশ) সে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনা, সে কিভাবে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করবে।

একই বক্তব্যে তিনি উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সে তার রাজনীতির প্রথম থেকেই মিথ্যাভাবে চলে আসছে।

এছাড়া তার ব্যারিস্টারি পড়া এখনো শেষ হয়নি, সে ভূয়া ব্যারিস্টারি পরিচয় দিয়ে মির্জাপুরের মানুষের কাছে ছড়িয়েছে। এসময় সেতাব মাহমুদ ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্তর ব্যারিস্টারের সঠিক তথ্য দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবে বলেও মন্তব্য করেন। সেই বক্তব্যের ভিডিও শনিবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে তার ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করেন। পরে সেটি সকালের মধ্যে ছড়াছড়ি হলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, ছাত্রলীগের তথাকথিত আহŸায়কের যে বক্তব্য সেটি অবান্তর ও কাল্পনিক। যে বিষয়টি সে চ্যালেঞ্জ করেছে এটি আমার জন্য মানহানিকর হয়েছে। যেটি ভূয়া ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করবো।

তিনি উল্লেখ করেন, আমি কুইনমেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ২০১৯ সালে এলএলবি পাস করি। এরপর একই সালে ইউনিভার্সিটি অব ল’ এ বার প্রফেশনাল ট্রেইনিং কোর্সে ভর্তি হই। দীর্ঘ ৯মাস কোর্স সম্পন্ন করার পরে ইংল্যান্ডের বার কাউন্সিল থেকে আমাকে ব্যারিস্টার হিসেবে কল করা হয়। এটি নিয়ে দ্য টাইমস নামক পত্রিকায় ব্যারিস্টারদের নাম প্রকাশ করে একটি সংবাদও করা হয়। তো এটি নিয়েতো কোনো সন্দেহ নাই।

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

বার্তা বাজার/জে আই