নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার সীমান্তের জিরো লাইনে জন সাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে সতর্কতা মূলক মাইকিং করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে সীমান্তের জিরো লাইনের ভিতর স্থানীয়দের আসা-যাওয়া না করার জন্য বাজারে-বাজারে মাইকিং এবং মসজিদের মাইকের মাধ্যমে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাইকিং করার পরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জিরো লাইনে অনেক স্হানীয় কৃষকরা কৃষিকাজে ব্যস্ত রয়েছে। এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে, এবং মাইন বিস্ফোরিত হচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকার জিরো লাইনে যেকোন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ঘটতে পারে এই আশংকায় পরিষদের পক্ষ থেকে মাইকিং করে স্হানীয়দের জিরো লাইনের আশেপাশে আসা-যাওয়া না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যদি কেউ নিদের্শনা অমান্য করে প্রবেশ করে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এর দায়ভার কেউ নিবে না, বরং তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের ভিতরে চলছে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র তুমুল যুদ্ধ, চলমাম এই সমস্যার কিছুটা প্রভাব মাঝে মাঝে সীমান্ত এলাকায় এসে পড়ে,যেমন মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা, মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে সীমান্ত দিয়ে রুদ্রদার ভাবে ঢুকে যেতে চান বাংলাদেশের ভিতরে,বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার থেকে এসেছে রকেট লাঞ্চার এবং গুলি, এতে সীমান্তবর্তী মানুষরা মাঝে মাঝে আহত এবং নিহতের মতো ঘটনা ঘটেছে এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন গোলাবারুদ বিস্ফোরণের শব্দে এসে এখনো মাঝেমধ্যে কেঁপে উঠে সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক জায়গা।

বার্তাবাজার/এম আই