দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করেছেন ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। পিতার কবর জিয়ারতের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচারণার সূচনা করেন।

এরআগে সোমবার সকালে ফরিদপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পান দোলন। পরে বিকালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামে প্রয়াত পিতা ওবায়দুর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তিনি। পরে তাঁর বাসভবনের সামনে সমবেত হাজার-হাজার কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দোলন।

ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দোলন বলেন, ‘আমি ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের জন্য কাজ করে আসছি। এমপি নির্বাচিত হলে সবার জন্য কাজ করবো। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলাকে আমূল বদলে দেবো।’

এর আগে দোলন ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর বিভিন্ন জায়গা থেকে সর্বস্তরের মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে কামারগ্রামে তাঁর বাড়ির দিকে। দুপুরের দিকেই তা ছাড়িয়ে যায় কয়েক হাজারে।

বিকালের দিকে মিছিলের পর মিছিলে তৈরি হয় গণজোয়ার। জনতা ‘৭ জানুয়ারি সারাদিন, দোলনের ঈগলে ভোট দিন, দোলন ভাই দোলন ভাই, ঈগল মার্কায় ভোট চাই, এমপি হলে দোলন, হবে প্রচুর উন্নয়ন, ফরিদপুর-১ আসন, যোগ্য প্রার্থী দোলন’সহ নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পরিবেশ।

আরিফুর রহমান দোলন ফরিদপুর-১ আসনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশারর মানুষের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্য জননেতা। প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর নামে ফাউন্ডেশন গড়ে গত দুই দশক ধরে তিনি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার মানুষের জন্য নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে আসছেন।

দেশজুড়ে খ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন নিজের হাতে গড়া জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়ের সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি ব্যবসায় উদ্যোক্তা হিসেবেও সফল। একাধিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে তিনি হাজারো মানুষের জীবিকার সংস্থান করেছেন।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচার চালাতে পারবেন ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী, এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।

বার্তা বাজার/জে আই