ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় রাতের আঁধারে প্রধান তিন মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার রহস্যের জট খুলেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা সনাতন মালো ওরফে সোনাইকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর গভীররাতে কে বা কাহারা পৌর এলাকার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, দামোদাড় আখড়া ও বিষ্ণু পাগলের আশ্রম মন্দিরে প্রবেশ করে কয়েকটি প্রতিমার মুখমণ্ডলের অংশে ভাঙচুরের সংবাদ জানতে পারি। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।

পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর বিকালে বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আলোচনা করে শ্রী বিষ্ণু পাগলের আশ্রমে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করা হয়।

এতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটের সময় শ্রী বিষ্ণু পাগলের আশ্রমের দুর্গা মন্দিরে প্রবেশ করে এবং ২.৩৬ ঘটিকায় বের হয়ে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মন্দিরে প্রবেশকারী ব্যক্তির পরিচয় পৌর এলাকার বাসিন্দা মৃত. নিতাই মালোর ছেলে সনাতন মালো ওরফে সোনাইকে (৪৫) সনাক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার দায়ে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ গ্রেপ্তারের অভিযান চালায়। এরপর ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত রাত ২টার দিকে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার চুয়াল্লিসের মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর সনাতন মালোকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়; সাপ তাকে দুই বছর যাবত স্বপ্নে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। তাই তিনি বিভিন্ন পূজামন্ডপে যে সকল প্রতিমার সাথে শিবের মূর্তি আছে সেগুলোর মুখমণ্ডলগুলো হাত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। কারণ শিবের গলায় সাপ জড়ানো থাকে। পাশাপাশি মূর্তির সাথে মাটির তৈরি যে সাপ থাকে সেটাও ভেঙে ফেলেন।

সনাতন মালো আরো জানায়, বিষ্ণু পাগলের মন্দিরে রক্ষিত দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষীর যে প্রতিমা আছে সেগুলো আসল না এবং তারাও সাপের রূপ ধারন করে তাকে ভয় দেখায়। এ কারণে ওই মূর্তিগুলোর মুখ সে ভেঙে দেয়।

বার্তাবাজার/এম আই