ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রতিপক্ষের হামলায় পিতাপুত্রসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি বেড়িরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম রিপন, তার ছেলে প্লাবন ইসলাম প্রান্ত, ওবাইদুর রহমান, জাহিদ শেখ ও তার ছেলে বিপ্লব শেখ।

এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম রিপন ও তার ছেলে প্লাবন ইসলাম প্রান্ত গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জাহিদ শেখ আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া অপর দুই আহত ব্যক্তি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী ওবাইদুর রহমান বাদী হয়ে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধুলজুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলাম রিপনের সঙ্গে একই এলাকার আক্কাচ শেখের গ্রাম্য বিরোধ চলে আসছিলো। এরই বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন নতুন করে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম রিপনের ছেলে প্লাবন ইসলাম প্রান্তের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আক্কাচ শেখের লোকজন। হামলায় প্রান্তকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বাম কাঁধের কলারবোনে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

এছাড়াও হামলাকারীরা প্রান্তের বুকের ডানপাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে পিতা রফিকুল ইসলাম রিপন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাকেও কুপিয়ে নাকের মাঝখান বরাবর রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাদের চিৎকারে রফিকুল ইসলামের আপন ভাই ওবাইদুর রহমান, প্রতিবেশী জাহিদ শেখ ও তার ছেলে বিপ্লব শেখ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরও পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আক্কাচ শেখ বলেন, ‘আমরা আগে হামলা করিনি। তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে আহত করেছে। আমাদের একটি হার্ডওয়্যারের দোকান ভেঙে লক্ষলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।’

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বার্তা বাজার/জে আই