আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের পল্লীতে এক ব্যক্তি নিজস্ব আর্থিক ও সার্বিক সযোগিতায় বিয়ের গেট সাজিয়ে, প্যান্ডেল নির্মাণ করে ধুমধাম আয়োজনে দরিদ্র দুই প্রতিবন্ধী যুবক যুবতীর বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই প্রশংসনীয় সামাজিক কাজে খুশি নব দম্পতি। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পেয়ে তারা কৃতজ্ঞতা সাধারণের মতো জানাতে না পারলেও তাদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ উচ্ছাস।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গোধুলী লগ্নে খাজরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খাজরা গ্রামের আশাশুনি উপজেলা ব্রাক্ষ্মণ সংসদের সভাপতি ও ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রদ্বিপ চক্রবর্তীর বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের গেট,বর বরণ, পট্ট্র বস্ত্র, সতপাক, শুভদৃষ্টি, মালা বদল, কন্যা সম্প্রদানসহ হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী এক যুবক-যুবতীর বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। তাদের বিয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য প্রতিবেশীদের উপচে পড়া ভিড়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পশ্চিম খাজরা গ্রামের মৃত রসিক সরদারের ছোট কন্যা শান্তি রানী সরদার (২০) একজন প্রতিবন্ধী। পার্শ্ববর্তী সোলাদানা ইউনিয়নের সোলাদান গ্রামের সুব্রত সানার পুত্র হিরন্ময় সানা(২৫) সাথে বিবাহ হওয়ার সব কথা বার্তা শেষ হয়েছে। তারা দুজনেই প্রতিবন্ধী। এদিকে শান্তি রানী সরদারের বাবা নেই। ভাই বোনেরাও পৃথক। মায়ের দুঃচিন্তা প্রতিবন্ধী এই মেয়ের বিয়ের খরচ কিভাবে যোগাবেন। নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সামান্য পরিমাণের অর্থই দিতে হিমশিম খান। এমন প্রদ্বিপ চক্রবর্তী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তার নিজের বাড়িতে সমস্ত্র বিয়ের খরচের আয়োজন করেন। মহা ধুধামের আর পাঁচটা ছেলেমেয়েদের মত হিরন্ময় সানা ও শান্তি রানী নবদম্পতির বিবাহ সম্পন্ন করান।

এ বিষয়ে প্রদ্বিপ চক্রবতী জানান, মেয়েটি আমার প্রতবেশীর কন্যা। মেয়েটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আর ছেলেটি শারীরিক প্রতিবন্ধী ও কিছুটা সহজ সরল। টাকার অভাবে তার বিয়ে হবে না এমনটা আমি মানতে পারিনি। পরে তাদের দুই পক্ষের অভিভাবকদের ডেকে আমি আমার বাড়িতে আমার খরচে বিয়ের আয়োজন করেছি। আমি আর্শিবাদ করি ওরা যেন সারা জীবন সুখে শান্তিতে সংসার করতে পারে।

এ বিয়ে অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য জালাল মোড়ল,আশাশুনি উপজেলা হিন্দু বিবাহ রেজিষ্টার বিপ্লব কুমার মুখার্জী,পুরোহিত নীল মধাব চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই