গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, দলকানা ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন প্রায় সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও একপাক্ষিক ও অংশগ্রহণবিহীন জাতীয় নির্বাচন ঘেষণা করেছে। এই নির্বাচন প্রতিহত করতে সর্বদলীয় ঐক্য ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ভোট বাঁচাও দেশ বাঁচাও শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন সীমোন্তের কাঁটাতারে ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়ে কাঁটাতারে ঝুলছিল কিশোরী ফেলানীর লাশ। ফেলানী হত্যার যুগপূর্তির দিনে বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যে আওয়ামী মহোড়া হচ্ছে তা কোনো গণতান্ত্রিক নির্বাচন নয়। এটি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের হাতকে আরও বেশি রক্তাক্ত করার আয়োজন। এ নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদী নীলনকশার নির্বাচন। বাংলাদেশের সার্বভৗমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে প্রতিবেশীর রাষ্ট্রগুলোর আগ্রাসন পাকাপোক্ত করার নির্বাচন। তাই এ নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আমরা জনগণকে আহ্বান জানাই।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবুদ্দিন খোকন বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ফেলানীর মৃত্যুদিবসে আওয়ামী নির্বাচন নয়, সেদিন আওয়ামী লীগের মরণ যাত্রার চূড়ান্ত পতন হবে ইনশাআল্লাহ। গণতন্ত্র বাঁচাতে নির্বাচন বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।

দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মহসিন রশিদ, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, এন ডি এম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আলহাজ আবদুর রহীম, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, আরিফ বিল্লাহ, ফার্মাসিস্ট মোজাম্মেল মিয়াজী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে ইস্তফা দিয়ে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান করেন বক্তারা।

বার্তাবাজার/এম আই