শীতের ভোরে কুয়াশার চাদর মোড়ানো সকালে মাঠ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে হলুদের সমারোহ। বর্তমানে অধিকাংশ মাঠ দখলে নিয়েছে সরিষা। আর তাই কুয়াশায় ভেজা হলুদ ফুল দুলছে মাঠে মাঠে। শীতের রাতে কুয়াশায় ভেজা শরিষার গাছ রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। সব মিলে সৃষ্টি হয়েছে মনোরম পরিবেশ। সাতক্ষীরার প্রায় প্রতিটি মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁধানো বর্ণিল সমারোহ।

এবছর যা আবাদ হয়েছে তাতে সরিষা চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আংশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক দাম পাওয়ার আশায় বুক বেধেছে এলকার কৃষকরা।

সাতক্ষীরা খামারবাড়ির তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এছাড়া ২৮ হাজার ৯৫০ মে. টন উৎপাদন এবং হেক্টর প্রতি (১.৩৩) এক দশমিক তেত্রিশ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলায় উপজেলার মধ্যে সাতক্ষীরা সদর ৬৭০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন ৮৯১১ মেঃ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কলারোয়া উপজেলায় ৮৩৬৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আর ১১১২৮ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তালা উপজেলায় সরিষা ২০০০ হেক্টর হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন ২৬৬০ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেবহাটা উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করেছে কৃষক। যা থেকে উৎপাদন ১৯৯৫ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদে ১৯৯৫ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশাশুনি উপজেলায় ৯০০ হেক্টর জমিতে আবাদ এবং ১১৯৭ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্যামনগর উপজেলায় সরিষা ৮০০.২ হেক্টর জমিতে আবাদ উৎপাদন ১০৬৪.৩ মে. টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সাতটি উপজেলায় সূর্যমুখী ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং হেক্টর প্রতি সরিষা ১.৩৩ মে. টন এবং সূর্যমুখী ২.২৫ মে. টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে সরিষা চাষি রজব আলী জানান, বিগত বছরের তুলনায় ফলন বেশি হওয়ার আশংঙ্কা করছি। বর্তমান বাজারে তেলের দাম বাড়তি হওয়ায় সরিষা চাষ করে লাভের আশা করছেন তিনি।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে বড় কোন দূর্যোগের সম্ভবনা কম। অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা দ্রুত ঘরে তোলা যায়। সে কারনে চাষিরা লাভবান হন। তাছাড়া বাজারে সরিষা তেলের চাহিদা রয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই