ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা’র স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে তাদের বহিষ্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

নেতা-কর্মীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ইঙ্গিতে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চার বিএনপি নেতার বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে তারা গণপদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বহিস্কৃত চার নেতা হলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম শেখ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল ইসলাম দাউদ, অপর যুগ্ম আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবু সালেহ মুসা।

ওইদিন রাতেই এই বহিষ্কার আদেশের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ঝাড়ু মিছিল বের করে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এরপর সোমবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অপর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এসময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাদী রতন, সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত হোসেন, পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজার মেম্বার, টগরবন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন, বুড়াইচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাম কাজী, সাধারণ রেজাউল ইসলাম, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

বহিষ্কৃত চার নেতা জানান, ‘তারা সবসময় দলের আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছেন। কিন্তু বিনাকারণে বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ইঙ্গিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা জানান, ‘এ নিয়ে তারা মোটেই চিন্তিত নন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। দলের শৃঙ্খলার স্বার্থেই এসব করা হয়েছে। কোন ব্যক্তির ইঙ্গিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়নি।’

বার্তা বাজার/জে আই