মারিয়া খাতুন (১৭) নামে এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাগুরা সদর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে শ্রীপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রাম থেকে নবুয়াত আলী (৫০) ও তার ছেলে শশি আহমেদকে (১৯) গ্রেফতার করেছে।

জানা গেছে, কয়েক মাস আগে শশি ও মারিয়া খাতুনের মধ্যে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে একপর্যায়ে অজ্ঞাত কারণে তাকে হত্যা করে সদর উপজেলার গাংনালিয়া ব্রিজের নিচে কুমার নদীর তীরে মরদেহ কচুরিপানার নিচে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।

গত ১৭ নভেম্বর এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে গাংনালিয়ার ওই এলাকা থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণ পায়। পরে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে অভিযুক্ত দুইজনের জড়িত থাকার তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। তবে পুলিশকে শশী জানিয়েছেন মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নদীর তীরে শশী ফেলে রেখে যান।

গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করবে।

এ সংক্রান্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত মারিয়ার সঙ্গে শশী আহমেদের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে মারিয়া শহরের আদর্শ পাড়ায় আমির খসরুর বাড়িতে শশীর ভাড়া করা কক্ষে আসা যাওয়া করতেন। এরই এক পর্যায়ে অজ্ঞাত কারণে শশী মারিয়াকে হত্যা করেন। পরে বাবার সহযোগিতায় তার মরদেহ তোষক দিয়ে মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যান।

এদিকে ১৫ নভেম্বর কঙ্কাল উদ্ধার হয় মারিয়ার। যা বিভিন্ন গণমাধ্যামে প্রচার ও প্রকাশ হয়। এটি দেখে মারিয়ার বাবা আছাদুজ্জামানসহ অন্যরা সদর থানায় যোগাযোগ করেন। সেখানে মরদেহের কঙ্কালের সঙ্গে পাওয়া হাতঘড়ি ও জামাকাপড় দেখে তারা মরদেহটি মারিয়ার বলে পুলিশকে জানান।

বার্তা বাজার/জে আই