যেকোন নির্বাচন এলেই প্রার্থী হয়ে যান তিনি, গত দুই যুগেরও বেশি সময়ে সংসদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও পৌর নির্বাচনসহ সব নির্বাচনেই ছিলেন প্রার্থী। শুধু তাই নয়; বিভিন্ন হাটে-বাজারে কখনো মোটরবাইক হাঁকিয়ে কখনোবা পায়ে হেঁটে একাই চালান নির্বাচনী প্রচারণা। তবে নিত্যসঙ্গী হাতে থাকে তার হ্যান্ডমাইক।

যতবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন একবারও টিকেনি জামানত। এমনকি কোনো বারই দুই সংখ্যা অতিক্রম করতে পারেননি ভোটের হিসেবে। নির্বাচন এলেই কিসের নেশায় কেমন করে যেন প্রার্থী হয়ে যান তিনি।

ভোট পাগল এ মানুষটি হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা এলাকার মো. আব্দুল জব্বার সিকদারের ছেলে নুর ইসলাম সিকদার। তবে তিনি নিজেকে পরিচয় দেন কে এম নুর ইসলাম সিকদার নামে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন ভোট পাগল নুর ইসলাম সিকদার। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনোনয়ন নিয়ে একতারা মার্কায় ভোটযুদ্ধে লড়বেন তিনি। ইতোমধ্যে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণাও করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাপা, জাকের পার্টি, বিএনএম ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অংশগ্রহণ করে নিজের প্রচারণা নিজেই চালাচ্ছেন নুর ইসলাম সিকদার।

সাধারণ ভোটাররা ভোট পাগল এ মানুষটিকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে বিনোদন নিলেও ভোটের ব্যাপারে ভীষণ সচেতন নুর ইসলাম সিকদার। অনেক নির্বাচনে কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু থেমে থাকার পাত্র তিনি নন। উচ্চ আদালতে লড়াই করে হলেও মনোনয়নপত্র ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।

বার বার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কথা হয় নুর ইসলাম সিকদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রার্থী হয়েই একদিন সফলতা আসবেই।’ তবে এবারের নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপরে ভীষণ আশাবাদী তিনি। তার ধারণা, ভোটাররা সব প্রার্থীর টাকা-পয়সা খেয়ে সবশেষে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম বার্তা বাজার’কে জানান, ‘নুর ইসলাম সিকদার একজন ভোট পাগল মানুষ। যেকোন নির্বাচন আসলেই ভোট যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। একটি মোটরসাইকেল যোগে হ্যান্ডমাইক নিয়ে একাই চালান নিজের প্রচারণা।’

বার্তাবাজার/এম আই