হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি শ্রমজীবীসহ এতদঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন।

সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস বলেন রাষ্ট্রপতি।

বার্তা বাজার/জে আই