হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে মাদারীপুর-২ (রাজৈর ও সদর) আসনে পুনরায় নৌকার টিকিট পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান। এ খবরে আনন্দের জোয়ার বইছে তার সমর্থকদের মনে। এ উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল ও শাজাহান খানকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি সভা করেছেন রাজৈর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠেছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম পন্থী নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে আভাস দিচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নৌকা বিরোধী নির্বাচন করার।

জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেতে মাদারীপুর-২ (রাজৈর ও সদর) আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় ৫ নেতা। এদের মধ্যে ব্যপক আলোচনায় ছিলেন এ আসন থেকে ৭ বারের নির্বাচিত সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম। দুই পক্ষের সমর্থক নেতাকর্মীদের মাঝেই ছিল ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা। সবচেয়ে বেশি আসায় ছিলেন বাহাউদ্দীন নাসিম পন্থী নেতাকর্মীরা। কিন্তু তাদের সেই আসা নিরাসায় পরিনত হয়েছে। পুনরায় ৭ বারের মতো নৌকা দিয়ে শাজাহান খানের উপরই আস্থা রেখেছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তবে বাহাউদ্দীন নাসিমকে রেখেছেন ঢাকা-৮ আসনে। এদিকে গত ৬ টি নির্বাচনের মতো এবারও মাদারীপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভে ফুলছেন বাহাউদ্দীন নাসিম সমর্থকরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন বাহাউদ্দীন নাসিম। তাকে না দেওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের জন্যই নৌকা চেয়েছিলেন হেভিওয়েট এই নেতা।

বাহাউদ্দীন নাসিম পন্থী এক ছাত্রলীগ নেতা হাসান মোল্লা তার ফেসবুকে লিখেছেন, নৌকা পাইয়া লাফ দিয়া পা ভাইঙ্গেন না। নৌকা যা স্বতন্ত্রও তা। যাহা বায়ান্ন, তাহাই তেপান্ন। যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার শখ করছেন, তাদের শখ অপূর্ণ থাকবে। খেলা হবে।

আরও দুই নেতা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কবির সরদার তাদের ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের টার্গেট ৭ জানুয়ারি। প্রস্তুত ইনশাআল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

বার্তা বাজার/জে আই