আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রায় দুই ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে এদের মধ্যে ক’জন হেবিওয়েট প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশরাই এলাকায় একদম অপরিচিত। দলীয় কর্মকাণ্ডে তাদের কখনও দেখেনি কেউ, এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া সাংবিধানিক এ আইন প্রণেতার পদটি পেতে দলীয় ফরম ক্রয়ে নির্বাচনী এলাকায় মুখরোচক আলোচনা শোনা যাচ্ছে অনেককে নিয়ে। তবে দু’এক দিনেই অপেক্ষার প্রহর কেটে যাবে মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে; এমনটাই বলছেন ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত এ আসনে মোট ২১ জন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তারা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন সাখাওয়াত হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব পুন্ড্র সাইন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক ভিসি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির কমিটির সাবেক সদস্য ডা. গোলাম কবীর, যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বখতিয়ার রহমান বতু, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. খায়ের মিয়া, ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক শেখ আব্দুর রহিম ও ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাজারুল ইসলাম টুকু।
তবে আসনটিতে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান সংসদ সদস্য মনজুর হোসেন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। কিন্তু কি কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি তার সঠিক কোন কারণ জানা যায়নি।
এদিকে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এবার নৌকার প্রার্থী কি অচেনা প্রার্থী হবেন নাকি দলীয় পদে থাকা ও রাজপথে থাকা লড়াই সংগ্রামে অংশ নেওয়া নেতারা হবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমার পরপরই এ আসন জুড়ে চলছে এমন আলোচনা ও সমালোচনা।
বার্তা বাজার/জে আই