দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর।

দল ত্যাগের আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরকে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জানা যায়, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রথমে বাকশালে যোগ দিয়ে ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালে বাকশালের জোট থেকে নৌকা প্রতীকে দ্বিতীয়বার ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৩ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগ দেন। সবশেষ তিনি ২০০৫ সালে ফরিদপুর-১ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে এমপিও নির্বাচিত হন।

শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর বৃহত্তর ফরিদপুরের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জানতে চাইলে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর বার্তা বাজারকে বলেন, ‘আমি নির্বাচনে অংশ নেব বলেই বিএনপি ছেড়ে এই দলে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সচেষ্ট হবে।’

কেন বিএনপি ছাড়লেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার এলাকায় অনেক নেতা-কর্মী কারাবন্দি, অনেকে মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া। তাদের রক্ষায় আমি এই মুহূর্তে মনে করেছি যে, আমার নির্বাচনে যাওয়া উচিত। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেজন্য দল ছেড়েছি।’

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন বলেন, ‘শাহ্ জাফর দল ত্যাগ করেছেন। শাহ জাফরের মতো এ রকম ছয় ডজন নেতা চলে গেলেও তাতে বিএনপির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। বিএনপির কারণেই তিনি আজ বড় নেতা। সেদিন বেশি দূরে নয়, বিএনপি ত্যাগের পরিণাম তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাবেন। আন্দোলনের এই সময়ে দলের পিঠে ছুরি মেরে দলের সঙ্গে বেইমানি করে যারা চলে যাবেন, তাঁদের পরিণাম শুভ হবে না। শাহ জাফরের প্রতি ধিক্কার জানানোর ভাষা তার জানা নেই। তার প্রতি শুধু করুণা করতে পারেন।’

বার্তা বাজার/জে আই