বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন। মারধরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহাসহ আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ নেতাকর্মী।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হরতাল ও অবরোধে ‘সহিংসতার’ প্রতিবাদে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে৷ বগুড়া ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরাজমান বিরোধকে কেন্দ্র করে সভাপতি সজীব সাহার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এই সময় তারা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে পতাকা স্ট্যান্ডে সমাবেশ শুরু করে। এ সময় দুই গ্রুফ সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে নানা রকম দেশীর অস্ত্র ও চাপাতি হাতে কয়েকজন যুবককে দেখা যায়। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের একপর্যায়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমানের কোমরের নিচে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বগুড়ার স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের দুপক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
পুলিশের সামনে অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এরকম কিছু চোখে পড়েনি।

ছাত্রলীগের নেতা মাহফুজকে দেখতে আসেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিস পোদ্দার লিটন। তিনি চিকিৎসার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজার রহমান বলেন, জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদউত্তীর্ণ ও অযোগ্য। সজীব সাহা একসাথে মিছিল করতে বলে আমি তৌহিদের আসার কথা তারা না মানলে আলাদাভাবে মিছিল শুরু করি।

অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব সাহাকে দেখতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু ও সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি শাহীন সহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সজিব শাহাকে হসপিটাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. সবুর উদ্দিন বলেন, কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক একটি মিটিং চলার সময় হট্টগোলের শব্দে বাহিরে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। সেখানে পুলিশ ছিল। কোনো পক্ষের কাউকে আমরা চিনতে পারিনি।

বার্তাবাজার/এম আই