নীলফামারীতে বিএনপি ও সরকার বিরোধীদের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধের শেষ দিনে দেখা মেলেনি বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের। গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা রয়েছেন আত্মগোপনে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ( ৯ নভেম্বর) সকালে অবরোধে যাত্রী খরায় অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা যানচলাচল কিছুটা কম ছিলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অবরোধের কারণে সকাল থেকে রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কে বাস চলাচল কম হলেও আন্তঃজেলা সড়কগুলোতে পর্যাপ্ত বাস চলাচল করছে। কর্মস্থলে ফিরেছে কর্মজীবী মানুষজন। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সড়কে ইজিবাইক, নসিমন, রিকশাসহ ছোট যান চলাচল করছে। দোকানপাট-শপিংমল খুলেছে স্বাভাবিক দিনের মতোই। এ অবস্থায় বিএনপির এই অবরোধ কর্মসূচিকে ব্যর্থ বলছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। জেলা বিএনপির অনেকেই কারাগারে থাকায় ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না অনেকেই। এর ফলে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে তৃতীয় দফা অবরোধ কর্মসূচি।
এদিকে নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাড়ামহল্লা এবং সড়কে পাহারা বসিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না। ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে বিএনপির তাণ্ডব, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর এবং যানবাহনে আগুনসহ ধ্বংসলীলার ঘটনায় তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে তাদের ডাকা অবরোধ কেউ মানছেন না। এজন্য অবরোধ কর্মসূচি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে রাজপথে প্রকাশ্যে দেখা না গেলেও অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে নিজেদের অবস্থান জানান জামায়াতে ইসলামী।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে। যেকোনো নাশকতা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কোনো ধরনের অরাজকতা কেউ করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বার্তা বাজার/জে আই