কুমিল্লার মুরাদনগরে এক মাদরাসা শিক্ষকের বেধড়ক বেত্রাঘাতে শিহাব (৬) নামের এক শিশু শিক্ষার্থী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে উপজেলার রহিমপুর আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মাদরাসায় এঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার শিশু শিহাব উপজেলার রহিমপুর গ্রামের কাউছার মিয়ার ছেলে ও রহিমপুর আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। এঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষিকা তানিয়া বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীর পিতা কাউছার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র শিহাবকে আনতে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় তার মা রত্না বেগম মাদ্রাসায় গিয়ে দেখেন শিক্ষিকা তানিয়া বেগম শিহাবকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। ছেলেকে পেটানোর কারন জানতে চাইলে শিক্ষিকা তানিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে শিহাবের মাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং তার সাথে থাকা ছোট ছেলে শিশু আবদুল্লাহ(৪)কে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। মাদ্রাসায় কোমলমতি শিশুদের এমননির্মম ভাবে বেত্রাঘাত ও নির্যাতন বন্ধে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ বিষয়ে মাদরাসার পরিচালক হাফেজ রমজান খান জানান, ঘটনার সময় আমি মাদরাসায় উপস্থিত ছিলাম না। আমার মাদরাসায় শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা নিষেধ রয়েছে। যদি কেউ এমনটা করে যদি কোন শিক্ষার্থীর পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তাহলে অভিযুক্ত শিক্ষকের ৩মাসের বেতন কর্তন করা হয়। অভিযুক্ত তানিয়া বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/এম আই