মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থল বন্দরে আসা পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রলার রাতের আধারে নিয়ে গিয়ে টেকনাফ সীমান্তের ট্রানজিট ঘাটে খালাস করা হয়েছে। এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কেউ অবগত নয় বলে জানালেও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানালেন ভিন্ন কথা।

নিয়ম বহির্ভূত ভাবে অবৈধ উপায়ে বন্দরের বাহিরে পণ্য খালাসকে চোরাচালান বলে অভিহিত করেন টেকনাফ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে মিয়ানমার থেকে একটি পেয়াজ বোঝাই ট্রলার টেকনাফ স্থল বন্দরে এসে পৌঁছায়। দুপুরে ওই ট্রলারের উপরে বসে এক ব্যবসায়ী পেঁয়াজের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে।

পরে ট্রলারটি বন্দরে খালাস না করে রাতের আধারে ট্রানজিট ঘাটে নিয়ে যায়। ট্রানজিট ঘাটে কড়া পাহাড়ায় ৬টি ট্রাকে করে অবৈধভাবে পণ্য গুলো খালাস করা হয়। রাতের আঁধারে খালাসকৃত পণ্যগুলো আসলেই কি পেঁয়াজ নাকি পেঁয়াজের ভেতরে মাদকের চালান ছিলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।

তবে ওই ট্রলারে ১শ টন পেঁয়াজ ছিলো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িদের একটি সূত্র।

এই ঘটনায় টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দীন জানান, পেঁয়াজ বোঝাই ট্রলার বন্দর থেকে খালাস না করে ট্রানজিট ঘাট দিয়ে খালাস করা হয়েছে। বিষয়টি শুল্ক গোয়েন্দা ও বিজিবি সহ সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, এই বিষয়ে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে পরবর্তিতে জানাবেন।

টেকনাফ টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এএসএম মোশারফ হোসেন এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই অবগত নন বলে জানান।

স্থল বন্দরের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বন্দরের বাহিরে সীমান্ত দিয়ে পণ্য খালাস হলে সেটি চোরাচালান। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সেখানে হস্তক্ষেপ করার বৈধতা রয়েছে। এব্যাপারে বিজিবির সাথে কথা বলার জন্য বলেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেকনাফ স্থল বন্দর ব্যবসায়ীরা জানান, পণ্য গুলো ওমর ফারুক ও যদু বাবু নামের দুই ব্যবসায়ীর বলে তারা শুনেছেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতে পেঁয়াজ গুলো ৬টি ট্রাক বোঝাই করে টেকনাফ থানার সামনে দিয়ে যেতে দেখে স্থানীয়রা।

বার্তাবাজার/এম আই