বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা রবিবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে ৩৫ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় ১ টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

উখিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদী হয়েছেন এস আই মোঃ আবদুল ওয়াহেদ। মামলায় আসামী করা হয় ৩৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে।

থানা সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামীরা হলেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আরফাত চৌধুরী, বেলাল উদ্দিন, জানে আলম জানু, ছালাম উল্লাহ,দিদারুল আলম,মোঃ রিদুয়ান,হেলাল উদ্দিন,রিদুয়ানুল হক বাপ্পি, সাজেদুল ইসলাম লিটন,জহুর আহমদ চৌধুরী, রফিক উল্লাহ,রিদুযান সিদ্দিকী, সাইফুল্লাহ সিকদার, এড: শাহ আমিন, জামাল মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম, সাইফুল সিকদার, খাইরুল আমিন, সাবিত চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন,রুহুল আমিন রুবেল, মো: ইউনুস, আবুল হোসেন,শামসুল আলম সোহাগ, মোহাম্মদ ইয়াছিন, জসিম উদ্দিন, আতাউর রহমান, মোহাম্মদ আলম, আবদুস সালাম, আলী হোসেন সুমন, দলিলুর রহমান শাহীন ও আমিনুল হক।

এর মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হলদিয়া পালং পাগলির বিল এলাকার হেলাল উদ্দিন পিতা মৃত ইউছুপ আলীকে পুলিশ আটক করেছে।

উখিয়ার রত্না পালং ইউনিয়নের আবছার বাপের পাড়া গ্রামের পুত্র হাজী দিল আহমদের পুত্র আবদুর সালাম দীর্ঘ ৯ মাস পূর্ব থেকে সৌদি আরব অবস্থান করলেও তিনি হরতালে নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার দায়ে মামলার ৩৩ নং এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ক্লাসে পাড়া গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র জামাল উদ্দিন মাহমুদকে একই মামলার এজাহারে ১৭ নং ও ২০ নং আসামি করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী জানান, হরতালের দিন উখিয়ার কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ও নাশকতামূলক ঘটনাই ঘটেনি। স্থানীয় সরকার দলের নেতারা অতিরিক্ত প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার ও গায়েবী মামলা দায়ের করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। এই ধরনের মিথ্যা মামলা কারো জন্যই শোভনীয় নয় বরং স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক এডভোকেট শাহ আমিন অভিযোগ করে বলেন বিএনপি যুবদক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতার কর্মী বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি গায়েবি , সাজানো ও মিথ্যা । উখিয়ায় কোন ধরনের সহিংসতা ঘটনা ঘটেনি।

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোদ্রব্যদি আইনে উখিয়া থানায় দায়ের করা এই মামলায় শনাক্ত হওয়ায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অন্যান্যদের অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি. ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। এসব যাচাই-বাছাই করে অন্যান্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে দাবি করেন নাম প্রকাশ্যের অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা।

ইতিপূর্বে হরতালে নাশকতা, সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে পুলিশ বাদি হয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় আরো ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে বিএনপি ও জামায়াতের ৬৬ জন নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ্য করে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে। এই নিয়ে কক্সবাজার জেলায় ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ১০১ জনকে।

বার্তা বাজার/জে আই