বিএনপি-জামায়াতের আহবানে অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার কক্সবাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে কক্সবাজার শহর ও উপজেলা সমুহে সকল প্রকার যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলছে। কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে বাস সমুহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যেও রওয়ানা হতে দেখা গেছে।

কক্সবাজার শহরে সাথে মহেশখালী দ্বীপ উপজেলায় নৌ রুটেও চলাচল করছে স্প্রীড বোট সহ অন্যান্য ট্রলার সমুহ।

সকাল থেকে কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ও মহাসড়কে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতিটি সড়কে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির টহল ও অবস্থান দেখা মিলেছে। জেলা শহর ও উপজেলা সমূহে টহল দিতে দেখা গেছে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিমকে।

এদিকে, সকাল ১০ টার পর থেকে কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড়স্থ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জড়ো হচ্ছেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা। সেখানে শান্তি সমাবেশ ও অবরোধ বিরোধি বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা রয়েছে। শহীদ সরণীস্থ কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় সকাল থেকে তালাবদ্ধ থাকলেও অবস্থান করছে বিপুল সংখ্যক পুলিশের একটি।

পরিবহণ শ্রমিক নেতা শফিউল্লাহ আনসারি জানিয়েছেন, অবরোধে এ পর্যন্ত কক্সবাজারের কোথাও তাদের যানবাহন আটকানো বা প্রতিবন্ধকতায় পড়েনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে স্বাভাবিক নিয়মে পরিবহণ চলাচল করছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহল টীম। র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও মাঠে রয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা বা নাশকতার চেষ্টার খবর পেলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার মজুমদার ও চকরিয়া চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থান রয়েছে। পুলিশের পৃথক টিম মাঠে দায়িত্বপালন করছে। অবরোধের নামে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তাদ্বয়।

টেকনাফ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, টেকনাফে পুলিশ সতর্ক অবস্থান রয়েছে। নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্ব পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম সবধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছে।

পেকুয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সর্তক অবস্হানে রয়েছে পুলিশ। অবরোধ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত কোন মিছিল ও মিটিং হয়নি বিএনপি-জামায়াত সমর্থকের পক্ষ থেকে।

পেকুয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর হায়দার বলেন, বিএনপি- জামায়াতের অবরোধে পেকুয়া কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্তক অবস্থায় রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সহ পুলিশের পৃথক টিম মাঠে রয়েছে।

রাামু উপজেলায় বিএনপি ঘোষিত অবরোধে কোন চিহ্নই দেখা যায়নি। সকাল থেকে সতর্ক অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান বলেন, অবরোধের নামে নাশকতা ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। এই পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে।

উখিয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছ। সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলো খোলা, স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক রাজপথে ছিলো। এছাড়াও মাঠে টহলে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রটের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম।

বার্তাবাজার/এম আই