টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া বন বিভাগের রেঞ্জের আওতাধীন ঝড়কা বিটের মাকড়াই কুমারপাড়া মৌজায় বনের জমি দখল করে প্রাচীরসহ ঘর নির্মাণ করেছে ফজলুল হক। তার বাড়ি নয়ন চালা গ্রামে। সে মৃত আরফান আলীর ছেলে।

বিট অফিস সূত্রেও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঝড়কা বিটের মাকড়াই কুমারপাড়া মৌজায় ১০১.১৮ একর বনভূমি রয়েছে। বিধি অনুযায়ী বনের এইসব জমিতে গাছের বাগান থাকার কথা। ২৮ অক্টোবর দেখা যায় মাকড়াই এলাকায় কোন বাগান নাই। মাঝে মধ্যে ২/১ টি বাগান থাকলেও সেখানে গাছের পরিবর্তে গড়ে উঠেছে কলা ও লেবুর বাগান করাত কল, দোকান ঘর, বসতবাড়ী ও স্থায়ী স্থাপনা। কুমারপাড়া মৌজায় কিছু বাগান থাকলেও সেখানে গাছ নাই বললেই চলে। সেখানে চলছে বন বিভাগের জায়গা দখলের মহাৎসব। কেউ টাকার বলে, কেউ ক্ষমতার বলে কেউ জাল কাগজপত্র প্রদর্শন করে। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত বনকর্মকর্তারা নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছেন। এই অবস্থা শুধু মাকড়াই কুমারপাড়া মৌজায় নয়। সারা বনবিভাগ জুড়েই বন কর্মকর্তাদের পরোক্ষ সহযোগীতায় দখলের প্রতিযোগীতা লক্ষ করা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুশারিয়া এলাকার নয়নচালা গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে ফজলুল হক বটতলী ও ঝড়কা বিটের দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা হেলালুর রহমানকে মোটা টাকা সেলামী দিয়ে বনবিভাগের ১৮ শতক জমি দখলে নিয়েছে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে এবং ফজলুল হক বনের সেই জমিতে চারিপাশে ইটের বাউন্ডারী তৈরী করে একপাশে ছাপড়া ঘর স্থাপন করেছেন।

এ বিষয়ে জবরদখলকারী নয়নচালা গ্রামের ফজলুল হককের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ৩ দিনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

রাতের আধারে কিভাবে বনের জমিতে ইটের বাউন্ডারী ও ঘর স্থাপনা করলেন জানতে চাইলে দেওপাড়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ মান্নান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। হয়তোবা বনের সাথে যোগসাজস করেই ঘর স্থাপন করেছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ঝড়কা ও বটতলী বিটের দায়িত্বরত বিটকর্মকর্তা হেলালুর রহমান জানান, আমি ঘর তোলার ব্যাপারে কিছুই জানিনা।আপনার কাছেই প্রথম জানলাম। কি
ব্যবস্থা নিয়েছেন পরের দিন জানতে চাইলে গড়িমশি করে বলেন স্থাপনা ভেঙ্গে নিতে আমি তাদের ১ দিনের সময় দিয়েছি। না নিলে পরে ব্যবস্থা নিব।

বনের জমিতে ঘর নির্মাণের বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা ধলাপাড়া বন বিভাগের রেঞ্জকর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান জানান, আমি এই মাত্র জানলাম, ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে দিয়েছি যদি ঘর স্থাপন করে থাকে স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে মামলা দিবো।

বার্তাবাজার/এম আই