সারা দেশে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীর পুরষ্কার পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের এক বাক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী।

এদিকে এমন সফলতার খবরে আনন্দিত তার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ পুরো পরিবার। ওই শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনার কথা ভাবছেন উপজেলা প্রশাসন।

আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এক লক্ষ টাকার একটি চেক ওই শিক্ষার্থীসহ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট আসনের সাংসদ সদস্য সরোয়ার জাহান বাদশাহ।

বাক প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থী দৌলতপুর প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের থানার মোড় পল্লী বিদ্যুত এলাকার মৃত আনিসুর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তার।

বিদ্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গেল বছর বাংলা নববর্ষের আগে সারা দেশ থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের আঁকা ছবি, প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্যে কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে পাঠানো হয়েছিলো। তার মধ্যে দৌলতপুর প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শারমিন আক্তারের আঁকা একটি গ্রামীণ দৃশ্যের ছবি দেশ সেরা ছবি নির্বাচিত হয় এবং প্রাধান মন্ত্রীর নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডে তা ছাপানো হয়।

তবে দেশ সেরা ছবি নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ১০ -১২ দিন আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করা ওই শিক্ষার্থীকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কৃত করা হয়।

এবিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মজনুল কবির পান্না বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিনের এতোবড় অর্জন যা আমাদের খুবি আনন্দের বিষয়। আমরা খুব খুশি হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

এবিষয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এটা খুবি ভালো খবর আমরা শুনেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে।

এবিষয়ে ওই শিক্ষার্থী মা জানান, মেয়ের এমন অর্জনের তারা আনন্দিত। তার মেয়েও খুবি খুশি । ছোটবেলা থেকেই সে ছবি আঁকতে পছন্দ করতো তার বাবার কাছ থেকে ছবি আঁকা শেখা বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।

এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট আসনের সাংসদ সদস্য সরোয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, প্রতিবন্ধী শিশু আমাদের সমাজের বোঝা নয় ওরাও আমাদের মত মানুষ । আমাদের দৌলতপুরের একটি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় আজ প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কারের এক লক্ষ টাকার একটি চেক তার হাতে তুলে দেও হয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই