নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করায় ৭ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এসময় জাল সহ দুটি মাছধরা নৌকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে হাতিয়ার টাংকির ঘাটের কাছে মেঘনা নদী থেকে এসব জেলেদের আটক করা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাজু চৌধুরী ও নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন অভিযান দিয়ে জেলেদের আটক করেন।

আটক জেলেরা হলো হাতিয়ার হরনী ইউনিয়নের মো: সালা উদ্দিন (২৬), মো: হাসিব (১৯ মো: হানিফ(২০), মো: স্বপন (২৮) ও জাহাজমারা ইউনিয়নের আব্দুর রহিম (১৮), মো: ইউছুফ (১৯) ও মো: মনির মাঝি (২৬)।

নৌ-পুলিশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে গভীর রাতে মেঘনা নদীতে অভিযান করে নৌ-পুলিশের একটি টিম। এসময় টাংকির ঘাটের কাছে নদীতে জাল পাতানো অবস্থায় একটি ছোট জেলে নৌকা পাওয়া যায়। পরে নৌকায় থাকা চার জেলেকে আটক করে নলচিরা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এসময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করা একটি নৌকা ও একহাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়।

নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এস আই মেহেদী জামান জানান, আটক জেলেদের হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নৌ- পুলিশ বাদি হয়ে মৎস্য সংরক্ষন আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

এদিকে একই সময় মৎস্য কর্মকর্তা সাজু চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি টিম হাতিয়ার মৌলভীর চরের কাছে মেঘনা নদী থেকে একটি জেলে নৌকা আটক করে। এসময় নৌকায় থাকা ৬ জেলেকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে জাল ও নৌকা মৎস্য অফিসের অধিনে জব্দ করে রাখা হয়।

এব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: সাজু চৌধুরী বলেন, আটক জেলেদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কিছু কিছু জেলে রাতের আধারে নদীতে মাছ শিকারে যায়। গত কয়েকদিন থেকে এধরনের সংবাদ আসতেছে। এজন্য রাতে আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বার্তা বাজার/জে আই