একটা সময় ছিল যখন ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত হতো। ফুটবলের সেই সোনালী দিন এখন আর নেই। ক্রিকেটের প্রভাবের কাছে প্রায় হারিয়ে যাওয়া ফুটবলের সেই সোনালী দিনের আবহ দেখা গেল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা শেখ রাসেল ৮ দলীয় স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে।

বানা মৌলভী আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে শনিবার বিকালে উপস্থিত হন কয়েক হাজার দর্শক।

বানা যুবসমাজের আয়োজনে জমজমাট এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করেছে পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার কাটাগড় ফুটবল একাদশ। মোট আটটি দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে আলফাডাঙ্গা উপজেলার শৈলমারী ফুটবল একাদশকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে টুর্নামেন্ট সেরা হয় কাটাগড় ফুটবল একাদশ।

এদিকে ফাইনাল খেলা দেখতে দুপুর থেকে দলে দলে মাঠে আসতে থাকেন দর্শকরা। এক পর্যায়ে কয়েক হাজার দর্শকদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে।

ফাইনাল খেলায় বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ হারুন-অর রশীদের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী সিরাজুল ইসলাম। উদ্বোধক ছিলেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা পারভীন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য ফারুক খান, বোয়ালমারী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আকরামুজ্জামান মৃধা রুকু, টগরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান, বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়া, বোয়ালমারী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু শ্যামল কুমার সাহা, সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর ও তরুণ শিল্পপতি কাজী শহিদুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

বার্তাবাজার/এম আই