সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের রাণীতলা গ্রামের বাসিন্দা ও রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার গভীর রাতে (৯ অক্টোবর) কলেজ ছাত্রীর বাড়িতে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, গত ৩ বছর যাবৎ মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামের নুর হোসেন ওরফে বাবু হাজী মোড়লের ছেলে শামসুজ্জামান সেলিম মোড়লের (২৬) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুযোগে কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে আসছিলো প্রেমিক সেলিম।

সর্বশেষ গত সোমবার রাত ১২ টার দিকে প্রেমিক সেলিম কৌশলে কলেজ ছাত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।

ওই সময় কলেজ ছাত্রীর চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত সেলিমকে হাতেনাতে আটক করে। এরপর অভিযুক্ত সেলিম মোড়লের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সেলিমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের স্বীকার ছাত্রীর চিৎকার শুনে তারা ছুটে যেয়ে সেলিমকে আটক করে। এরপর মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফেরদাউস মোড়লকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অভিযুক্ত সেলিমের পিতা ভাড়াটে লোকজন নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার ছেলে অভিযুক্ত সেলিমকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এদিকে বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত শামসুজ্জামান সেলিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মামুন রহমান জানান, এবিষয়ে ভুক্তভোগী কিংবা তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই