প্রবল ঝড়ে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার বিদ্যাধর-ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মরিশাস প্রবাসী মো. আকাশ মিয়া ও তরুণসমাজ সেবক মো. আশিকুর রহমানের যৌথ সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০টি পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।

প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী হিসেবে ১০ কেজি চাউল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি ডাল ও ২ কেজি করে আলু দেওয়া হয়।

এসব বিতরণী অনুষ্ঠানে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে পরিচিত মরিশাস প্রবাসী মো. আকাশ মিয়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি অধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খুব শীঘ্রই ঘর নির্মাণেও ঢেউটিন ও মিস্ত্রি খরচ প্রদান করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্ব তরুণ সমাজসেবক মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য কিছু একটা করার চেষ্টা করছি মাত্র। সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ালে হয়তো তাদের নূন্যতম মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হবে।’

খাদ্য সামগ্রী বিতরণে অধরা পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আজমুল আজিজের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাটিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব হোসেন মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খবিবুর রহমান, প্রবাসী আকাশ মিয়ার পিতা জাকির মিয়া, সদর ইউপি নারী সদস্য মর্জিনা বেগম, বিদ্যাধর-ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আইয়ুব হোসেন, প্রধান শিক্ষক তাহমিনা তহমিনা খানম প্রমুখ।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিলন মৃধা, বিশিষ্ট সমাজসেবক খলিল তালুকদার, সদর ইউপি নারী সদস্য স্বপ্না আক্তার, ইউপি সদস্য জাকির মিয়া, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নাহিদ রাজু ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক এম এম ওসামা বিন কানন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে মাত্র এক মিনিটের ঝড়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে অনেকেই সহায়সম্বল হারিয়ে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। কেউবা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

বার্তা বাজার/জে আই