রংপুরের মিঠাপুকুরে আধিপত্য বিস্তার ও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করাকে কেন্দ্র করে এমপি সমর্থক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় দলের নেতকর্মী,পুলিশ, সাংবাদিক সহ প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এসময় লাঠিসোটা দেশীয় অস্ত্র সহ উভয় দলের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা রংপুর বগুড়া মহাসড়কের আন্ডার পাশের উত্তর এবং দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান নেন। একে অপরের দিকে ধাওয়া দিয়ে শক্তির প্রদর্শন করে উভয় পক্ষ। ইটপাটকেল ছোড়াছুড়িতে মূহুর্তেই রণক্ষেত্র হয়ে যায় পূরো এলাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্হানীয় সাংসদ সদস্য এইচএন -আশিকুর রহমানের সমর্থক এবং নেতাকর্মীরা। ঠিক একই সময়ে মিঠাপুকুর আন্ডার পাসের নিচে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থকেরাও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে। দীর্ঘদিন থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি পুত্র রাশেক রহমানের অনুসারী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের অনুসারীদের মধ্যে গ্রুপিং এবং প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই সংঘাত বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক নেতাকর্মী।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে আমরা আজকের আলোচনা সভা করার চেষ্টা করছিলাম। এসময় বিশেষ কারো ইন্ধনে তার অনুসারীরা আমাদের সভাস্থলের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর চালায় এবং লাঠি সোঠা নিয়ে আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। তবে কতজন আহত হয়েছে সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। একই দাবি করেন এমপি সমর্থক এবং তার অনুসারীরা,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, জাকির হোসেন সরকারের লোকজন আমাদের ছেলেদের মারধর এবং ঠিল ছুড়তে থাকে এতে কয়েকজন গুরুত্বর আহত হন।আহতদের হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে ছিলো। মিঠাপুকুর থানা পুলিশ এবং রিজার্ভ ফোর্স এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনি সহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে জানান।

বার্তা বাজার/জে আই