“আমাদেরকে অবশ্যই জীবান্ম জ্বালানীর যুগ শেষ করতে হবে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা বিশ্বের ন্যায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় পালিত হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু দিবস।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের আগুনমুখা নদীর তীরে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। এতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এ্যম্বেসী অব সুইডেন এর অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) উপজেলার জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির দাবী পূরনসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে বিশ্ব জলবায়ু দিবসটি পালন করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ভার্কের প্রকল্প সমন্বয়ক মোহসিন তালুকদার, জাগোনারী সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার মো. ফরিদ উদ্দিন, ভার্কের প্রজেক্ট অফিসার কানিজ সুলতানা, প্রজেক্ট ফ্যাসিলিটেটর সালমা খান ও আবু জাফর প্রমুখ।

এ সময় বক্তরা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে, আর সেই সাথে বিপন্ন হচ্ছে কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানার পরিধি বাড়ানো ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট তথ্যের অবাধ প্রচারণার কোনো বিকল্প নেই। তবে মুশকিল হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনা বা তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে কারিগরি ভাষা ব্যবহৃত হয় ফলে বিষয়টি সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারেনা ফলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ জনগণ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারলে যা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে বলে আমরা মনে করি।’ তাই এখন সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও সকলকে আহব্বান জানাচ্ছে-‘‘জলবায়ু আন্দোলনে অবদান রাখুন, জীবাশ্ম জ্বালানীর আবসান করুন।”

জানা গেছে, ২০২২ সালে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ছিল শিল্প বিপ্লবের আগের তুলনায ১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। উষ্ণতার এই মাত্রা বৃদ্ধির ফলে মানুষ, বন্যপ্রাণী এবং সমগ্র প্রাকৃতিক ব্যবস্থায় এর নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। প্রকৃতিতে তীব্র্র তাপ প্রবাহের পাশপাশি বেড়েছে অস্বাভাবিক বন্যা এবং খরা, ঘূর্নিঝড় পাল্টে গেছে বৃষ্টিপাতের ধরণ। এর ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের জীবন ও প্রকৃতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে আর এর স্বীকার হচ্ছে বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশগুলো। বিপন্ন হচ্ছে চর,উপকূল ও হ্ওার অ লের লোকজনের জীবন, জীবিকা,সম্পদ ও পরিবেশ।

উল্লেখ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০১৫ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ হয়। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্য ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ‘প্রচেষ্টা’ চালিয়ে যেতে সচেষ্ট হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা মাত্র ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবার অর্থ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দৃশ্যমান প্রভাবের মাত্রা বহুগুনে বেড়ে যাবে। এমনকি চলমান পরিস্থিতি তার সব ধরনের বিপদসীমাকে অতিক্রম করবে।তাই এখনই সময় সকলে মিলে আওয়াজ তুলে সমস্বরে প্রতিবাদ করা।

বার্তা বাজার/জে আই