ইবনে সিনা ট্রাস্টের এডিশনাল ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এ এন এম তাজুল ইসলাম বলেছেন,আধুনিক ও বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সারাদেশে ইবনে সিনা কাজ করছে।তিনি বলেন,চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার।অর্থাভাবে তা থেকে এদেশের মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয়,সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।
তাজুল ইসলাম রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দের সাথে ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট এর চেয়ারম্যান(HMC) মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক ও বাসস’র সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ,সহ-সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলাল।
সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালের এজিএম এন্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মোহাম্মদ ওবায়দুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন,প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মুহিত দিদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু,কার্যকরী কমিটির সদস্য শ্রী আশীষ দে, মাহমুদ হোসেন খান, সাইফুল ইসলাম, ক্লাব সদস্য মো. কামাল আহমদ, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, মো. আলমগীর আলম,আব্দুল হাসিব, তাসলিমা খানম বীথি, শাহিদুর রহমান জুয়েল, জসীম উদ্দিন,লোকমান আহমদ, আবু জাবের, ইফতেখার শামীম, দেলোয়ার হোসেন মান্না, এম এ হান্নান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এন এম তাজুল ইসলাম বলেন,দেশের চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সৎ মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান এখনো অনেক নিম্নে।প্রতি বছর ২৭লক্ষ লোক ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি সাংবাদিকদের সমাজ বিনির্মাণের কারিগর উল্লেখ করে বলেন,সাংবাদিকরাই পারে একটি সমাজকে বদলে দিতে।তিনি বলেন,অনলাইন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিশ্বব্যাপী জয় জয়কার চলছে।মানুষ এখন সবাই অনলাইনমুখী।এটি মিডিয়ার আপডেট ভার্সন।অনেক মেইনস্ট্রিম মিডিয়াও তার অনলাইন ভার্সনের কাছে ধরাশায়ী।স্বাস্থ্য সেবা খাতে ইবনে সিনার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন,চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
তাজুল ইসলাম বলেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে পুরো দেশে ইবনে সিনা মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।’সৃষ্টির সেবার মধ্য দিয়ে স্রষ্টা কে পাওয়া’ এটা ইবনে সিনার মূলমন্ত্র। এ লক্ষ্যে আমরা ডাক্তার,নার্স,কর্মচারী,সেবকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিনিয়ত মোটিভেশন করছি।তিনি বলেন,ইবনে সিনায় ১৬৬৯ জন কনসালটেন্ট সারাদেশে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটি আমাদের সফলতা। এত সংখ্যক চিকিৎসক আর কোথাও নেই।তিনি বলেন, আমরা কোন ডাক্তারকে কমিশন দেই না।শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণমুখী উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও হাসপাতাল এদেশের হেলথ সেক্টরে এক যুগান্তকারী সংযোজন।আধুনিক স্বাস্থ্য সেবার পথ প্রদর্শক ইবনে সিনা।বিদেশীরাও ইবনে সিনাতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরা জব করেন সরকারী প্রতিষ্ঠানে। আর প্রাকটিস করেন আমাদের মত অনেক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে।আমরা নিজস্ব চিকিৎসক বাড়ানোর চিন্তাভাবনা অলরেডি শুরু করেছি।মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন এই বাংলাদেশের নাগরিকদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আমরা ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছি।পিসিআর ল্যাব থেকে শুরু করে অনেক উন্নত যন্ত্রপাতি রয়েছে আমাদের।দেশ সেরা চিকিৎসকরা এখানকার কনসালটেন্ট।কর্পোরেট চুক্তির জনক ইবনে সিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষের জন্য শতকরা ২৫ ভাগ ডিসকাউন্ট সর্বপ্রথম আমরাই চালু করেছি।ইবনে সিনার এখন ২৩টি শাখা আছে। ২০৫০ সালের মধ্যে সারাদেশের প্রতিটি জেলায় ইবনে সিনার শাখা চালু হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন,ইবনে সিনা গণমানুষের প্রতিষ্ঠান।এটি ব্যক্তি কিংবা কোন গোষ্ঠীর নয়। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান।সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেটবাসীর সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন,প্রতি মাসে প্রায় তিন কোটি টাকা আমরা সিলেটবাসীকে ডিসকাউন্ট দিয়ে যাচ্ছি।
হাবিবুর রহমান বলেন,ইবনে সিনা সিলেটে প্রতিষ্ঠার সময় অনেকেই বলেছিলেন এটি ছয় মাসও ঠিকবে না। আল্লাহর রহমতে আমরা আছি এবং আমাদের অনুপ্রেরণায় আরো একাধিক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তৈরী হয়েছে। এতে আমরা গর্বিত।
তিনি বলেন,ইবনে সিনায় কোন ইন্টার্ন ডাক্তার নেই। পূর্ণ ডাক্তাররাই এখানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।তিনি বলেন,ব্যবসা নয় সেবার জন্য আমরা কাজ করছি। অসহায় ও অভাবী মানুষকে সহায়তা করতে সর্বদা প্রস্তুত ইবনে সিনা। তিনি তাদের সেবাধর্মী কাজকে আরো এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বার্তা বাজার/জে আই