পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শ্বাশুড়িসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার মুক্তা (২৮) জেলার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মুনিম জমাদ্দারের স্ত্রী এবং উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির কন্যা। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে মুক্তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুক্তার স্বামী মুনিম জমাদ্দার, শ্বাশুড়ি ছবি আক্তার এবং সহযোগী শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজিব নামের ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর পিতা মজিবুর রহমান মুন্সি সাংবাদিকদের জানান, ভান্ডারিয়া পৌর শহরের টিএন্ডটি সড়কের মামুন জমাদ্দারের ছেলে মুনিম জমাদ্দার বছর খানেক আগে মেয়ে মুক্তাকে বিয়ে করে। কয়েক দিন আগে পারিবারিক কলহের কারনে মুক্তাকে তার স্বামী মারধর করে। এ ঘটনার পর মুক্তা তার বাবার বাড়ি চলে আসে। শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে মুনিম গিয়ে মুক্তাকে নিয়ে যায়। পরে সে মুক্তাকে ভান্ডারিয়ার চেচরী রামপুর ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মুনিমের বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব উপস্থিত হয়। তাদের সহযোগীতায় হিজাব পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে কাছে থাকা বেরীবাঁধের পাশে মরদেহ ফেলে রাখে। ঘটনাটি মুনিম তার মা ছবি আক্তারকে জানালে ছবি সেখানে মরদেহ দেখতে যায় এবং সেখান থেকে লাশ এনে ভান্ডারিয়ার কানুয়া গ্রামের একটি ইট ভাটার পাশে কচুরীপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

ভান্ডারিয়া থানার (ওসি) আশিকুজ্জামান জানান, রাতে অজ্ঞাত নামা একটি ফোন থেকে হত্যার ঘটনা জানতে পারি। পরে পুলিশও ফায়ার সার্ভিসের লোক নিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই