ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে মো. সাহাবুদ্দীন মোল্যা (২৬) নামে এক যুবকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। এর পরপরই ওই তরুণীর স্বামীসহ তার পরিবার ঘরে তালা দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তরুণী অনশন করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. সাহাবুদ্দীন মোল্যার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছেন ওই তরুণী। স্ত্রীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই তরুণী।

জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের ওমর মোল্যার ছেলে সাহাবুদ্দীন মোল্যার সাথে একই উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের যোগিবরাট গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের এ সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়।

অনশনকারী ওই তরুণীর দাবি, সাহাবুদ্দীন মোল্যা একজন ইতালি প্রবাসী। সে বিদেশ থাকাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৩ জুন সাহাবুদ্দীন দেশে আসেন। এরপর বিভিন্ন স্থানে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যান সাহাবুদ্দিন। একপর্যায়ে গত ১৭ আগস্ট ফরিদপুর আলীপুর শহরের একটি কাজী অফিসে গিয়ে তিন লাখ টাকা দেনমহরে আমরা গোপনে বিয়ে করি। কিন্তু গত শুক্রবার সাহাবুদ্দীন আমাকে হঠাৎ ফোন করে জানায়; সে আরেকটি বিয়ে করেছে। এরপর থেকে সে আমার সাথে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে বিয়ের কাগজপত্রসহ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে সাহাবুদ্দীনের বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু আমি আসার পর সাহাবুদ্দীনসহ তার বাবা-মা ঘরে তালাবদ্ধ করে কৌশলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি এখন এলাকার অনেকেই জানে। আমার আর কোথাও ফিরে যাওয়ার পথ নেই। সাহাবুদ্দীন স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ নেই বলে জানান ওই তরুণী।

অভিযুক্ত সাহাবুদ্দীন মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় ও তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু তাহের বার্তা বাজার’কে বলেন, ‘অনশনের কথা শুনে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি আপস মীমাংসা করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

বার্তাবাজার/এম আই