নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থেকে একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করছেন। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরও। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, দুর্গাপুর উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২৬ টি বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪০ টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাজ চালানো হচ্ছে। তাছাড়া ৪৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।

চৈতাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাজেদা খাতুন জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ দুটোই করতে হচ্ছে ফলে বেশি চাপে থাকতে হচ্ছে। তাই দ্রুত একজন প্রধান শিক্ষকের দাবী জানান তিনি।

মুজিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া জানান, স্কুলটি জাতীয়করণ হওয়ার পূর্বে থেকেই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে জাতীয়করণের পরে প্রধান শিক্ষক না হয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেট প্রকাশ হলে হাইকোর্টে রিট করেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও প্রধানও সংকট রয়েছে। এভাবে চললে শিক্ষার গুণগত মান ক্ষুণ্ণ হবে। দ্রুত এ শূন্য স্থানে শিক্ষক প্রদান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাহমিনা খাতুন জানান,শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এটির একটি প্রক্রিয়া চলছে। তবে নিদিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কিন্তু হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি আশা করছি।

বার্তাবাজার/এম আই