প্রতিবাদপত্রে প্রতিবেদনটিকে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে বার্তা বাজারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।

বিগত ২১শে আগষ্ট বহুল প্রচলিত মাল্টিমিডিয়া পোর্টাল বার্তা বাজারে ‘ নিয়োগের জন্য জাবি প্রশাসনকে ‘চাপ’ দিচ্ছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী! ’ শিরোনামের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরিপ্রেক্ষিত সংবাদ সংক্রান্ত নানাবিধ তথ্য ও অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত যুব মহিলা নেত্রী বার্তা বাজারে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান।

প্রতিবাদকারী আকলিমা আক্তার এশার বক্তব্যঃ

আসসালামু আলাইকুম,
আমি আকলিমা আক্তার এশা, আমার নামে আপনাদের পত্রিকায় ২১ আগষ্ট একটি নিউজ করা হয়েছে, যার নূন্যতম কোন ভিত্তি নাই। নিউজে বলা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা আমার নামে এসব বলেছেন, কিন্তু যারা আমার ভালো চায় না, তারা যেকোন কিছু বলতে পারে, কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, কোন প্রমাণিত ডকুমেন্টস ছাড়া তারা কিভাবে আমার নাম উল্লেখ করে আমার মানহানী হয় এমন একটা নিউজ করতে পারে? এবং সেখানে বলা হয়েছে, আমার কিছু ” স্ক্রীনশট ফাঁস হয়েছে “, কিন্তু এমন কিছুই কখনোই হয়নি।
এমন একটা মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজের জন্য আমি সামাজিক ও মানসিক ভাবে বিব্রত!

‘বক্তব্যটি হুবুহু আকলিমা আক্তার এশার প্রেরীত প্রতিবাদের অংশবিশেষ। ’

 

প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ

নিউজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পক্ষের সাথে কথা বলে করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনপন্থি শিক্ষকেরা স্বশরীরে কথা বলেছেন, তবে নাম প্রকাশে বক্তব্য দিতে চাচ্ছেন না। আকলিমা আক্তার এশার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো প্রতিবেদকের কথা নয়। সে বিষয়গুলো নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন।

‘বক্তব্যটি হুবুহু প্রতিবেদকের ব্যক্ততার অংশবিশেষ। ’

 

সম্পাদনা বিভাগের বক্তব্যঃ

সংবাদটি প্রকাশিত হবার পর আগত প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষীতে বিষয়ভিত্তিক তথ্য ও উপাত্ত যাচাইয়ের জন্য, প্রতিবেদককে প্রকাশিত সংবাদের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও বক্তব্য গুলোর ছায়া অনুসন্ধানের জন্য দুই দিন সময় দেয়া হয়। একাধিকবার কথোপকথন এবং উপাত্ত সমূহের পর্যাপ্ত যথার্থতা খুঁজে না পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতিবেদককে প্রকাশিত সংবাদের জন্য নিজ অবস্থান ও বক্তব্য স্পষ্ট করতে বলা হলে, তিনি আরো সময় প্রার্থনা করেন।

সংবাদটিতে স্পর্শকাতর ভাবে কিছু বিছিন্ন অভিযোগ থাকার দরূন, প্রতিবাদলিপি গ্রহন সাপেক্ষে সাময়ীক সময়ের জন্য তা অপ্রকাশিত রাখা হয়। যার দরূন, প্রতিবেদক বিষয়টিকে তার নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন পরিপন্থী ধারনা করেন এবং তার নিজ পেশাগত চেতনার পরিপস্থি ব্যক্ততা করে পদত্যাগপত্র প্রদান করেন। প্রতিবেদক জানান, বিষয়টি তার জন্য অবমাননাকর।

 

নির্বাহী সম্পাদকের বক্তব্যঃ

প্রকাশিত সংবাদটি প্রতিবাদ স্বাপেক্ষে পুনরায় আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদেরটির অভিযোগ সমূহ যথাক্রমে, (১) চাকরীরর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবার জন্য চাপ দেয়ার বক্তব্যটির পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের একজন কর্মী হিসেবে দলীয় অগ্রজদের তিনি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিজ ব্যাক্তিস্বার্থে সুপারিশ করছেন মর্মে স্বীকার করেছেন। (২) আপত্তিকর স্ক্রীনশট সংক্রান্ত যে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদক এবং প্রতিবাদকারীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থাকায়, অভিযোগটির তথ্য উপাত্ত সত্য কিংবা মিথ্যা কোনটাই স্পষ্ট না হয়ে আপাতত অমিমাংসিত থাকছে। তবে স্ক্রীনশট সংক্রান্ত বিষয়ে যাদের নাম প্রকাশ্যে এসছে, তারা প্রত্যেকেই বিষয়টি তাদের নয় এমন বক্তব্য প্রদান করেছেন। (৩) ইপিজেড সহ বিভিন্ন আবাসিক প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার বিষয়ে কোন ভূক্তভোগীর বক্তব্য কিংবা স্থানীয় থানায় খোঁজ নিয়ে প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মামলা কিংবা ডায়েরী খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে উপাত্ত হিসেবে প্রতিবেদক থেকে প্রাপ্ত একটি অডিও ক্লিপ বিশদ বিশ্লেষন করলে, অভিযোগটি সত্য কিংবা মিথ্যা কোনটাই স্পষ্ট না হওয়ায় আপাতত অমিমাংসিত বলা হচ্ছে।

সর্বশেষ প্রতিবেদনটির প্রতিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদকের নিজ কোন বক্তব্য অবশিষ্ট না থাকায়, প্রতিবাদকারী সমীপে সাময়ীক বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্য বার্তা বাজার পরিবার দুঃখ প্রকাশ করছে। একইসাথে, প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি বার্তা বাজারের অনুসন্ধানী টিম ‘আড়াল’ পূর্ন পেশাদারিত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।

 

বিনীত,

নির্বাহী বিভাগ

বার্তা বাজার।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার