বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রাশিয়া।

সম্প্রতি জীনগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বুধবার রুশ তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ১০জনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে যা ফ্লাইট লিস্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে।

রুশ সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহে জানানো হয়, প্রিগোজিন এবং তার কিছু সর্বোচ্চ পর্যায়ের লেফট্যানেন্ট এই বিমানে ছিলেন।

বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানায় রুশ তদন্ত কর্মকর্তারা। প্রিগোজিনের মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

গত বুধবার মস্কোর উত্তরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে—এমন জল্পনা ডালপালা মেলেছে। কিন্তু ক্রেমলিন প্রিগোজিনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল, এমন দাবি পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ।

প্রিগোজিন এক সময় পুতিনের খুবই ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তার ডাক নাম ছিল ‘পুতিনস শেফ’। কিন্তু তাদের সেই সম্পর্ক টুটে যায় গত জুনে, প্রিগোজিনের নেতৃত্বে কয়েক হাজার ওয়াগনার যোদ্ধার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে। মাত্র ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী ওই বিদ্রোহকে পুতিন বর্ণনা করেন বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। পরে এক চুক্তির মাধ্যমে ওই বিদ্রোহ শেষ হয়। চুক্তিতে ওয়াগনারের যোদ্ধাদের রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অথবা মস্কোর মিত্র বেলারুশে চলে যাওয়ার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হয়।

প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাওয়া বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তখনই অনেক পর্যবেক্ষক প্রিগোজিনকে ‘মৃত মানুষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, পুতিন কখনোই ওয়াগনারের প্রধানকে ক্ষমা করবেন না।

বার্তাবাজার/এম আই