ক্ষমতা অপব্যবহার করে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার পার্কপাড়ার শহীদ আলমগীর সড়ক সংলগ্ন হাইরাইজ বিল্ডিং (১০তলা) বিশিষ্ট একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কাজ অব্যহত রেখেছেন একটি প্রভাবশালী মহল। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঝিনাইদহ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ ধারায় ভুক্তভোগি শাহিনুর আলমের ভাতিজা ও শফিকুল আলমের পুত্র সাগর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন।

ইতিপূর্বে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের আপোষনামা করলেও বাস্তবে তার কোন মিল নেই বলে অভিযোগ করেন সাগর রহমান। তাই পুনরায় তিনি আদালতে বিচার চেয়ে আবেদন করেন। দিন দিন এ বিষয়টি নিয়ে এলকাবাসীর মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আদালতের বিচারক উভয় পক্ষকে যে যে অবস্থায় আছেন সে সেই অবস্থায় থাকবেন মর্মে নোটিশ প্রদান করেন এবং বিবাদিদের আদালতে নালিশী সম্পত্তি সংক্রান্তে সকল কাগজপত্রসহ আগামী ১১/১০/২৩ ইং তারিখ শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি তার বাপ দাদার আমল থেকে এই পাড়ায় বসবাস করে আসছে। তিনি বলেন আশপাশের বাড়ি ঘর এর মাঝে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যে জায়গা রাখার নিয়ম তার কোন কিছুই মেনে কাজ করা হয়নি। প্রতিবেশীর বাড়ির সীমানা প্রাচীর এবং বারান্দা ভেঙ্গে চুরমার করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা অতিতে কখনও এত বড় ভুমিদস্যু তিনি দেখেননি বলে অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ঝিনাইদহ পৌর এলাকার সুকান্ত সড়কের পার্কপাড়ার শফিকুল আলমের পুত্র মামলার বাদী সাগর রহমান বলেন, ভুমিদস্যু লিয়াকত ও সাদ নামের দুই ব্যক্তি তবিবুর রহমান ও তোহিদুর রহমানের কাছ থেকে জমি নিয়ে পার্কপাড়ায় শহীদ আলমগীর সড়ক সংলগ্ন হাইরাইজ বিল্ডিং (১০তলা) একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবন অবৈধভাবে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আমাদের বিল্ডিংয়ের গা ঘেষিয়া এবং পৌরসভার রাস্তার ড্রেনের উপরে প্রথম তলা থেকে বিল্ডিং প্রসারিত করে দখল করে। বিষয়টি নিয়ে বরং বার তাদের বলেও কোন সমাধান না করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্মাণাধীন কাজ অবৈধভাবে অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে আমি ঝিনাইদহ পৌরসভা ও বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঝিনাইদহ আদালতে এ দিয়ে মোট তৃতীয়বার শরনাাপন্ন হয়ে সঠিক বিচার দাবি করছি। যদিও তারা আইন আদালতকে তোয়াক্কা না করে এখনও পর্যন্ত অবৈধভাবে কাজ করে চলেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি এ ঘটনার ন্যায় বিচার পাব।

ঝিনাইদহ পৌরসভার সার্ভেয়ার হাবিব বলেন, বিষয়টি অবগত আছি। আগামীকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই সাহাদাতুল আলম জানান, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। বিল্ডিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে কোর্ট তদন্ত চেয়েছে আগামীকালই প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে জানান তিনি।

বার্তাবাজার/এম আই