ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী, বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রদলের ২৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদ্য ঘোষিত এই আহ্বায়ক কমিটিকে নিয়ে ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

গত ১৯ আগস্ট রাতে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক আসিফ কবির ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তামিম মুরাদনগর উপজেলা এবং তিনটি কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। জেলার জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত ২৩ সদস্যের শুধু মুরাদনগর উপজেলা কমিটিতেই অভিযোগ রয়েছে অছাত্র, বিবাহিত, চাকরিজীবী এবং ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাদের দিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে।

ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী সোসাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করে জনান, উপজেলা কমিটির আহবায়ক খাইরুল হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, মো. মাহাবুব আলম, মো. সোহেল সিকদার ও সদস্য আবদুল হাই বিবাহিত। এদের মধ্যে মাহাবুব আলম দুই সন্তান ও সোহেল সিকদার এক সন্তানের জনক।

এ ছাড়া যুগ্ম আহবায়ক আশিকুজ্জামান সাগর, ফাহাদ হোসেন, জাহিদ হোসেন সম্রাট ও আবুল কাশেমসহ সদস্য পদে রহমত উল্লাহ ও রাফি ছাত্রলীগের কর্মী এবং আবু হানিফের কোন ছাত্রত্ব না থাকার পরও পেয়েছেন সদস্য পদ।

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. এনামুল হক তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেন, ‘পদত্যাগ করলাম যে দলে কোন সাংগঠনিক কাজ চলেনা এবং সম্মান দেয়না এমন রাজনীতি করলামনা (বিএনপি)।

মো. সাগর মিয়া নামে আরেক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘যারা জয় বাংলা স্লোগান দেয় তাদেরকেই মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে। স্যালুট লিডার এমন একটি কমিটি আমাদেরকে উপহার দেয়ার জন্য।’

জেলা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক নেতা বলেন, ‘ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র মতে ২৯ বছরের কম বয়সী ছাত্র, অবিবাহিতরাই পাবে ছাত্রদলের পদ। চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের জন্য তো অন্যান্য সহযোগী সংগঠন রয়েছে। উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি দেখে মনে হয়েছে, দলীয় আদর্শেও চেয়ে ভাইয়ার দলকে এখানে গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে।’

সমালোচনার বিষয়ে বুধবার দুপুরে কথা বলতে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আসিফ কবির ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তামিমের মুঠোফোনে একাদিক বার কল করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

বার্তাবাজার/এম আই