গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আমন ধানের বীজতলা ডুবে গিয়ে পচে যায়। এতে কৃষকের কপালে নেমে আসে চিন্তার ভাঁজ। পানি সরে যাওয়ার পরে আবারো নতুন করে বীজতলা তৈরি করছেন তারা। ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনছেন এসব কৃষকরা। এমন চিত্র পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উঁচু জায়গায় যাদের বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল তারা আমনের চাষাবাদ শুরু করেছে। তবে অনেকেই এখনো নতুন করে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গাবালীতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০১৬০ হেক্টর জমিতে। যার জন্য তৈরি করা প্রথম ধাপে ১৯০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু টানা বর্ষণে ১৬০০ হেক্টর জমি পরিমান বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। জলাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পরে দেখা যায় ৩০০ হেক্টর জমির বীজতলা একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যা টিকে আছে তা চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকরা।

উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মফিদুল হাওলাদার (৪০) বলেন, আমরা যে বীজতলা তৈরি করছিলাম তা একেবারে শেষ হয়ে গেছে। আমরা নতুন করে আবার বীজ ফালাইছি। আবার বৃষ্টি না আসলে ২০-২৫ দিন পরেই লাগাইতে পারমু এই চারা।

নয়া ভাঙ্গুনি এলাকার কৃষক দিপু হাওলাদার (৪৮) বলেন, বীজ ফালাইছি তাতে চারা অনেক সুন্দর চারা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা হল বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। চারার সংকট তাই অন্যের থেকেও আনা যাচ্ছে না। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করছি। আশা করছি ভাদ্রের শেষের দিকে চারাগাছ রোপণ করতে পারবো।

এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চারা সংকটের কারণে তাদের আমরা ৪টার বদলে এক গোছায় যেন দুটো করে চারা রোপণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষকদের যাদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে তারা আত্মীয় বা প্রতিবেশীর থেকে বীজ সংগ্রহ করে তা রোপন করছেন। যারা দরিদ্র কৃষক রয়েছে তাদের মাঝে আমাদের কৃষি অফিস থেকে ৬০০ কেজি বীনা ২০ জাতের বীজ বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জনে আমরা এখনো শতভাগ আশাবাদী।

বার্তাবাজার/এম আই