তিনি সবসময় সাধারণ ‘মানুষের কাছে, মানুষের পাশে’ থাকতে ভালোবাসেন। তাই তো স্থানীয়দের কাছে হয়ে উঠেছেন ভরসাস্থল। দুঃখ-দুদর্শা, বিপদ-আপদের কথা শুনলেই দিন কিংবা রাত ছুটে যান তাদের কাছে। দেন তাৎক্ষণিক পরামর্শ-সহায়তা। স্থানীয়রাও তাকে কাছে পেয়ে খুশি হন; তাই তো ডাকেন ‘জনতার নেতা’ বলে। এই জননন্দিত মানুষটি হলেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুন্সীবাড়ির সন্তান আরিফুর রহমান দোলন।

জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব নিজের প্রপিতামহ কাঞ্চন মুন্সীর নামে গড়েছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত স্থানীয়দের বিভিন্ন সহায়তা করা হচ্ছে। আরিফুর রহমান দোলন মানবিক কাজের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দোলন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

মানবিক এই নেতা বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিনভর আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন অসহায় ও বিপদগ্রস্থ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। প্রথমে আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার নওয়াপাড়া গ্রামের রফিক তালুকদারের বাড়িতে যান। এরপর গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামের চা বিক্রেতা হাবিবুর রহমানসহ বেশকিছু বাড়িতে যান। পরিবারগুলো নানান সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। এসময় সার্বক্ষিক পরিবারগুলোর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও দেন আরিফুর রহমান দোলন।

জানা গেছে, গতরাতে (বুধবার) রফিক তালুকদারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আরিফুর রহমান দোলন সেই বাড়িতে যান। সেখানে দীর্ঘসময় দোলন অবস্থান করে ঘটনার রাতের বর্ণনা শোনেন। দোলন প্রতিশ্রুতি দেন, পরিবারটির পাশে থেকে আইনি সহায়তার। পরে ডাকাতির ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন জনতার এই নেতা। এরপর অসুস্থ গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনকে দেখতে যান। তার শরীরের খোঁজখবর নেন এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন। অসুস্থতার খবরে সরাসরি বিল্লালকে দেখতে যাওয়ায় তিনিও (বিল্লাল) দোলনকে ধন্যবাদ জানান। দুপুরে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জননন্দিত নেতা আরিফুর রহমান যান সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা গ্রামে। বিরল রোগে আক্রান্ত আপন দুইভাই আবির হুসাইন নাঈম ও নূর হোসেনের শারীরিক খোঁজ-খবর নেন।

জন্ম থেকে শিশু দুটির চোখ, নখসহ শরীর ফেঁটে গিয়ে রক্তাক্ত-ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। গরম সহ্য করতে পারত না। এজন্য শরীরে পানি ঢালতে হতো। পরিবারটি অর্থ সংকটে থাকায় ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছিল না। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে; দোলন পরিবারটির পাশে দাঁড়ান এবং আর্থিক সহায়তা করেন। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থান জানতে ওই বাড়ি যান। আগের থেকে দুই ভাইয়ের শরীরের অবস্থা ভালো বলে পরিবারটি জানায়। এসময় দোলন পরবর্তী যেকোনো প্রয়োজনে পরিবারটির পাশে থাকবেন বলে জানান।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চুন্নু, জেলা পরিষদ সদস্য আহসান হাবীব হাসান শিকদার, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ শাহীদুজ্জামান, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব খান আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মো. নাজমুল ইসলাম রানা, গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য টিটন মোল্যা, ছোটন মোল্যাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

বার্তাবাজার/এম আই