জমিটি নিজের ভোগদখলীয় দাবি করেন রৌমারীর আকবর আলী। আর প্রশাসনের দাবি, জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত। এই জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যালয়। গত শুক্রবার সায়েদাবাদ বাজার এলাকায় তিন শতক জমির ওপর নির্মাণ করা হয় যাদুরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এ ঘটনায় গত রোববার থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম রিপন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছানাউল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক ও যাদুরচর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহ কামাল সরকার জমি দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আকবর আলীর দাবি, ওই জমি নিয়ে রৌমারী সহকারী জজ আদালতে একটি ডিক্রি পান তিনি। অন্য একটি মামলায় গত ৩০ জুলাই জেলা জজ আদালতের নাজির, কমিশনার, পুলিশ, জারিকারক ঘটনাস্থলে গিয়ে জমিটি পরিমাপ করে তাঁকে দখল বুঝিয়ে দেন। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার তাঁর দোকানঘর ভেঙে দিয়ে তিন শতক জমি দখল করেন আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী মৌজার আরএস ২৪৯৩ নম্বর দাগটি খাস খতিয়ানভুক্ত। এই দাগে জমির পরিমাণ ৭ একর ৯ শতক। এর মধ্যে প্রায় তিন শতক দখল করে আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।

কথা হয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, জায়গাটি খাস খতিয়ানভুক্ত। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রার সঙ্গে কথা বলে জমিটি দখল করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে জায়গা দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মাণের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রার।