মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ভিতরে স্টাফ রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এসময় টের পেয়ে রুম থেকে বের হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান প্রাণে বেঁচে যায়। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই আতংকে রয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ রোগীরা। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরুরী বিভাগের ভিতরে স্বাস্থ্য কর্মীদের রেস্ট রুমের ফ্লোর জুড়ে বালু-খোয়া-সিমেন্টের তৈরি পলেস্তারা ছড়িয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপরে তাকাতেই দেখা যায় ছাদের নিচের অংশ খসে পড়ায় রড বের হয়ে আছে। রড জং ধরে যাওয়ায় ছাদের উপরের অংশও যেকোন সময় ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ রোগীরা জানায়, যেকোন সময় ছাদ ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু ছাদ ভেঙে পড়ার খবর শোনার পর থেকে খুব ভয়ে আছি। এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে নতুন ভবনের দাবি জানাই।

স্বাস্থ্যকর্মী সাইদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে জরুরী বিভাগে আমার ডিউটি ছিল। রোগী না থাকায় রেস্ট নেয়ার জন্য স্টাফ রেস্ট রুমে ঢুকে একটু শুয়েছিলাম। এসময় উপর থেকে আমার গায়ে বালু পড়ায় তাড়াতাড়ি জরুরী বিভাগের রুমে চলে আসি এবং সাথে সাথে ছাদের পলেস্তারাগুলো খসে বিছানার উপর পড়ে। বছরখানেক আগেও হাসপাতালে সংস্কার কাজ করেছে। কিন্তু তা ভালো হয়নি। আজ যদি আমি মারা যেতাম তাহলে আমার পরিবারের কি হতো? এখন যেকোনো সময় জরুরী বিভাগের ছাদও ধ্বসে পড়তে পারে। আমরা খুব ঝুঁকির মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত এর একটা সমাধান চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আমিনা নুসরাত জাহান বলেন, অলৌকিকভাবে আমাদের স্টাফটা বেচে গেছে। আমরা রাতেই এইচইডিকে ভিডিও পাঠিয়েছি এবং আজকে চিঠি লেখা হয়েছে। তারা দ্রুত সংস্কার করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

এর আগে সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি ছিল কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাফলতি না, তবে সেই সময় রোগীর প্রচুর চাপ থাকায় ওই অংশে ভালো ভাবে কাজ করানো সম্ভব হয়নি। আসলে ভবনের টেম্পার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা নতুন ভবন চাচ্ছি। এ ব্যাপারে মাদারীপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সাব-এষ্টিমেটর মিলন বলেন, পুরাতন বিল্ডিং তাই ছাদ ভেঙে পড়ছে, দেখছি আমরা।

সংস্কারের কাজে কোন গাফলতি হইছে কিনা এবং ঠিকাদার কে ছিল? জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, ওটাতো অনেক পুরাতন বিল্ডিং। তাই কোথাও একটু ভেঙে পরতেই পারে। আমরা ওখানে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

বার্তা বাজার/জে আই