কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় শামশু আলম হত্যার দু’যুগ পর রায় ঘোষনা করেছে আদালত। মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন ও একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। বেকসুর খালাস দিয়েছে দুইজনকে।

রোববার (৬ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষনা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও শামশু উদ্দিন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, টেকনাফের হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার আমান শরীফের ছেলে সোনা মিয়া ও হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালীর আবুল কালামের ছেলে কামাল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত বেলাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালের ২৬ এপ্রিল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকায় ‘হা ডু ডু’ খেলার সময় সুলতান আহমদের ছেলে শামশুল আলমের শ্যালক রবিউল আলমের সাথে কামাল উদ্দিনের ঝগড়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে কামাল উদ্দিন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম দা, ছুরিসহ রবিউল আলমকে ধাওয়া করে। পথিমধ্যে শামশুল আলমকে পেয়ে তারা উপর্যপূরী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় শামশুল আলমকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা সুলতান আহমদ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-(২০/১৯৯৯ ইং)। মামলার দ্বীর্ঘ তদন্ত শেষে চার জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৫ সালের ১১ মে এ মামলার চার্জগঠন হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত বেলাল বলেন, আসামী শামসুদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সার্বিক বিবেচনায় আসামী জাহাঙ্গীর ও শামসুদ্দিনকে যাবজ্জীন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যাককে এক লাখ টাকা করে অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো দুই বছর করে সশ্রম কারাদ প্রাদান করেন। রায় ঘোষণা কালে আসামীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই