বরগুনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগে এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে অর্থদণ্ড বাদী আকরামকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মোঃ মশিউর রহমান খান বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হল বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের শশাতলা গ্রামের জামাল মল্লিকের স্ত্রী মোসা: রুমা আক্তার (৩০) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো: আশ্রাফুল আলম। রায় ঘোষনার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল।

জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি রুমা আক্তার ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ওই ট্রাইব্যুনালে একই গ্রামের মৃত নুরু সরদারের ছেলে মো: আকরামের বিরুদ্ধে রুমা আক্তার অভিযোগ করেন। তার স্বামী বাড়িতে প্রায়ই থাকে না। এ কারনে আকরাম রুমা আক্তারকে উত্যাক্ত করে যাচ্ছে। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭ টার সময় একই গ্রামের লুৎফার বাড়ি হতে জামাল মল্লিককে বিলের মধ্য দিয়ে নিজ বাড়িতে আসতেছিল। বাড়ির কাছাকাছি আসলে আকরাম অসৎ উদ্দেশ্য রুমা আকতারকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেস্টা করে। রুমার সঙ্গে থাকা জামাল মল্লিক রুমাকে রক্ষা করার চেস্টা করলে আকরাম তাকে পিটিয়ে আহত করে। আসামি আকরাম রুমা আক্তারের কাপড় চোপড় খুলে ফেলে। রুমা আকতার নিজেকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করে। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বরগুনা থানায় এজাহারের নির্দেশ দেয়। বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ মে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, আকরাম নির্দোষ এবং বাদী রুমা আকতার মিথ্যা মামলা করেছেন। বাদী রুমা আকতার ওই ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি আবেদন করলে তাও ট্রাইব্যুনাল নাকচ করে দেয়।

আসামি আকরাম বলেন, আমার মান সম্মান রুমা আক্তার শেষ করে দিয়েছে। আমি রুমা আক্তারের বিরুদ্ধ ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল ওই ট্রাইব্যুনালে রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করি। রুমা আমার চেয়ে বয়সে বড়। তার স্বামীর সঙ্গে আমার জমাজমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারনে আমার বিরুদ্ধে রুমা জঘন্য ও মিথ্যা মামলা করেছে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।
রুমা আকতার কোর্ট প্রাঙ্গণে বসে বলেন, আমি প্রথমে হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন এনেছিলাম। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি আবার হাই কোর্টে আপীল করব।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশ্রাফুল আলম বলেন, আকরাম ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এই ম্যাসেজটি জনগণের কাছে পৌছলে এভাবে কেহ আর মিথ্যা মামলা করবে না।

বার্তাবাজার/এম আই